পুলিশ কাকুর বাইকে সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছল মাফিজা

সঙ্গে সঙ্গে ডেবরা ট্রাফিক বিভাগের ওসি সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে বাইকে বসিয়ে তাকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কনস্টেবল মৃন্ময় হান্ডা।

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, পাঁশকুড়া: জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ছিল মাফিজা খাতুন। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে বাসে যাওয়ার সময় ভুল করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নামার বদলে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের ডেবরায় পৌঁছে যায় সে। এরপর পুলিশ কাকুর বাইকে চেপে কোনওক্রমে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছল পাঁশকুড়ার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মাফিজা। পুলিশের এই উদ্যোগে সাধুবাদ জানান স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন-যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন ডিজি

জানা গিয়েছে, মাফিজার পরীক্ষার সিট পড়েছিল পাঁশকুড়ার হাউর সংলগ্ন কুমারপুর হটেশ্বর হাই স্কুলে। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে বাসেই বই খুলে ব্যস্ত ছিল সে। ফলে হাউরে বাস থেকে নামার বদলে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ডেবরা গিয়ে পৌঁছয় সে। যখন বুঝতে পারে পরীক্ষাকেন্দ্র পেরিয়ে অনেকদূর চলে এসেছে, তখন তড়িঘড়ি বাস থেকে নেমে ট্রেনে হাউরে পৌঁছনোর জন্য বালিচক স্টেশন পৌঁছয়। সেখানেও ট্রেন দেরিতে থাকায় পুনরায় ডেবরা স্ট্যান্ডে এসে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে সবটা খুলে জানায় মাফিজা। তখন হাতে আর মাত্র আধ ঘণ্টা সময়। সঙ্গে সঙ্গে ডেবরা ট্রাফিক বিভাগের ওসি সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে বাইকে বসিয়ে তাকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কনস্টেবল মৃন্ময় হান্ডা। পুলিশের তৎপরতায় কোনওক্রমে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে শেষমেশ পরীক্ষায় বসতে পারে ওই ছাত্রী। মাফিজা জানায়, ‘‘পুলিশ কাকুদের বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে মোটর বাইকে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। পুলিশ কাকু না থাকলে আজ আর আমার পরীক্ষাই দেওয়া হত না।’’ মানবিক পুলিশের ভূমিকায় পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুজিত রায় বলেন, ‘‘ওই পুলিশকর্মীকে ধন্যবাদ। তিনি যেভাবে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন তাতে পুলিশ সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদল হবে।’’

Latest article