প্রতিবেদন : জুলাই মাসের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রের চলছে প্রবল বৃষ্টি। গত কয়েকদিন সেই বৃষ্টির মাত্রা আরও বেড়েছে। বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বর্ষার মরশুমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯। মৃত চারজনই পূর্ব মহারাষ্ট্রের গন্ডিয়া জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন-উদ্ধবকে সবক শেখাতে রাজের দ্বারস্থ বিজেপি
ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকায় শুক্রবার পুণে, পালঘর ও সাতারা জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই, থানে, নাসিক, রায়গড়, রত্নাগিরি, সিন্ধুদুর্গ, কোলাপুর, অমরাবতী, নাগপুর, ভান্ডারা চন্দ্রপুর, গান্ডিয়া-সহ বেশ কিছু জায়গায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে রাজ্যের একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তানসা হ্রদের জলে নিকটবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গড়চিরৌলি জেলা।
আরও পড়ুন-সামরিক শক্তির ব্যবহার পুরনো হয়ে গিয়েছে : দলাই লামা
টানা বৃষ্টিতে গত এক সপ্তাহ ধরে জলের তলায় মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের একাংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। মানুষ সমান জল দাঁড়িয়ে যায় আন্ধেরির ভূগর্ভস্থ পথে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকায় ব্যাহত যান চলাচল। রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, এখনও অবধি এক হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় ৭ হাজার মানুষকে। ৪৫টি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ১২৫টি গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে।