প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রে বেশিরভাগ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কোনও না কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিবসেনার বিদ্রোহের জেরে রাজ্যে এক নতুন ইডির উদয় হয়েছে। এদিন আস্থাভোটে নেওয়ার সময় বিধানসভাও কক্ষও ইডি বিতর্কে সরগরম হয়ে ওঠে। এদিন আস্থাভোট নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই কংগ্রেস, এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবিরে থাকা বিধায়করা ‘ইডি, ইডি’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। বিরোধী বিধায়করা অভিযোগ করেন, শিবসেনার যে বিধায়করা বিদ্রোহ করেছেন তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে। সেই তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই বিজেপির শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা। সে কারণেই উদ্ধব ঠাকরেকে ছেড়ে তাঁরা শিন্ডের পাশে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন-শিন্ডে সরকারের আয়ু ছয় মাস, বিস্ফোরক পাওয়ার
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারকে উৎখাতের পিছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির ভূমিকা রয়েছে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
বিরোধীদের দাবি, ইডির ভয়ে অনেকেই শিন্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সোমবার আস্থাভোট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার সময় উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রও এক সময় মেনে নেন, মহারাষ্ট্রে ইডির সরকার গঠন হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে যে নতুন সরকার গঠন হয়েছে তাকে কটাক্ষ করে অনেকেই বলছেন, এটা ইডি সরকার। হ্যাঁ আমিও বলছি, এটা ইডি সরকার। উপমুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় বিরোধীরা চমকে ওঠেন। তাঁরা ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরে ক্ষুব্ধ দেবেন্দ্র তাঁর মনের কথাই বলে ফেলেছেন। কিন্তু ভুল ভাঙতে দেরি হয়নি। ইডি’র বিষয়টি খোলসা করে ফড়নবিশ নিজেই। তিনি বলেন, এখানে ‘ই’ মানে একনাথ শিন্ডে এবং ‘ডি’ মানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাঁর এই কথায় অবশ্য সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের বিধায়করাই হাসিতে ফেটে পড়েন।