প্রতিবেদন: বিশ্বাসঘাতকতার যোগ্য জবাব দিল মহারাষ্ট্র। নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে শিবসেনা এবং এনসিপিতে ভাঙন ধরানোর গেরুয়া কৌশল মোটেই ভালভাবে নেয়নি মহারাষ্ট্রের মানুষ। সেই কারণেই গেরুয়া শিবিরকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ইভিএমে। উত্তরপ্রদেশের পরেই আসন সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় মহারাষ্ট্র। উত্তরপ্রদেশে আসন সংখ্যা ৮০ আর মহারাষ্ট্রে ৪৮। দুটো রাজ্যেই জোরালো ঝাঁকুনি খেল বিজেপি তথা এনডিএ। তাদের অনেক পিছনে ফেলে দিল ইন্ডিয়া জোট। ৪৮ আসনের মধ্যে ৩০ আসনে নিশ্চিতভাবেই জয়ের পথে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু শিন্ডের শিবসেনা, অজিত পাওয়ারের এনসিপিকে নিয়ে বিজেপির এনডিএ জোটের ভাগ্যে জুটতে চলেছে বড়জোর ১৭ আসন।
আরও পড়ুন-হাসনে ধরাশায়ী প্রজ্জ্বল রেভান্না
অন্যান্য এগিয়ে একটিতে। আসলে শিবসেনা ভেঙে দিয়ে বিজেপি যে মহারাষ্ট্রের আত্মাভিমানে আঘাত করেছে তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সফল হয়েছেন প্রয়াত বাল ঠাকরের পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে ধরে মহারাষ্ট্রের মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ঠিক তেমনই মারাঠি স্ট্রংম্যান শারদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার দলের প্রতীক নিয়ে বিজেপির হাত ধরে নির্বাচনী লড়াইতে নামায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আমজনতা। তাঁদের চোখে এ ক্ষমার অযোগ্য বিশ্বাসঘাতকতা। মানুষের এই মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা গিয়েছে ইভিএমে। শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সোলে বারামতি কেন্দ্রে নিশ্চিতভাবেই জয়ের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রাকে পিছনে ফেলে। শেষ পাওয়া খবর, অজিত পাওয়ারের এনসিপির ভাগ্যে জুটেছে মাত্র একটি আসন। এককথায়, বিজেপিকে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দিয়েছে মহারাষ্ট্রের আমজনতা।