প্রতিবেদন : ঐতিহাসিক মাহেশে জগন্নাথদেবের মন্দিরে ২ হাজার মানুষের গীতা পাঠের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি ও মহাযজ্ঞ হল রবিবার সকালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে রাজ্যবাসীর মঙ্গলকামনায় পুজো দেওয়া হয়। রবিবার সকাল থেকেই মাহেশের জগন্নাথদেবের মন্দির-চত্বর ছিল উৎসবমুখর। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
আরও পড়ুন-‘তুমি তো আমার মা’ বৃদ্ধার ঘরে বসে চা সহযোগে আড্ডা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিনের যজ্ঞ-অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মাহেশের জগন্নাথদেবের মন্দিরের সঙ্গে সারা রাজ্যের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। এত বড় মহাযজ্ঞ এবং ২০০০ মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠের মধ্যে দিয়ে এক নতুন অধ্যায় শুরু হল। মন্দির কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কিন্তু উনি উত্তরবঙ্গে ব্যস্ত থাকায় আমাকে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে এখানে পাঠিয়েছেন। তাঁর পক্ষ থেকে এখানে পুজো দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমরা চাই প্রত্যেকে যেন নিজের ধর্ম পালন করতে পারি। এদিন কল্যাণবাবুও গীতা পাঠ করেন। যজ্ঞে অংশ নিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বিগ্রহ জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা এই মন্দিরে বিরাজ করছেন। এটা অতি-পবিত্র স্থান এই মন্দিরে আমি আসতে পেরে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করছি। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশান্তির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্দিরের উন্নতির জন্য অনেক কাজ করেছেন এবং আজকে মাহেশধামের আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন-বৈবাহিক ধ.র্ষণ নিয়ে নজিরবিহীন রায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়-সহ আরও বহু বিশিষ্টজনের। অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানান জগন্নাথদেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী এবং সভাপতি অসীম পণ্ডিত। প্রতিবছর ৬২৭ বছরের প্রাচীন এই ঐতিহাসিক মন্দিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে রথের সময়। শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ-সহ বহু মানুষ কোনও না কোনও সময়ে মাহেশের মন্দিরে এসে তাঁদের পদধূলিতে ধন্য করেছেন। সেই মন্দিরে বিশ্বশান্তির জন্য যজ্ঞ এবং ২ হাজার মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠ এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করল।