বিজেপির গুণ্ডাগিরিতে বন্ধ দিল্লি মাছবাজার, সরব মহুয়া

Must read

পকেটে হাত দিয়ে ‘আদেশ’! ৬০ বছর ধরে চলা মাছের বাজার বন্ধ করে দিতে হবে। নির্দিষ্ট ধর্মাবম্বীদের তা না পসন্দ। তাই খোদ দেশের রাজধানী শহরের চিত্তরঞ্জন পার্কের মাছের বাজার বন্ধ করে দিল ধর্মের ধ্বজাধারী গুণ্ডাবাহিনী। বিশেষভাবে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতেই মাছ-মাংসের উপর কোপ ফেলায় সরব তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua moitra)। তিনি দিল্লি পুলিশের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করতেই সাহায্যের আবেদন জানাতে শুরু করেছেন দিল্লির স্থানীয় বাঙালিরা।

দিল্লির ক্ষমতায় আসার পরে ধর্মীয় রাজনীতিতে মত্ত বিজেপি। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যেভাবে হিন্দুত্বের তাস খেলতে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনী খাবারে লাগাম টেনেছে সেখানকার বিজেপি প্রশাসন, এবার রাজধানীতে সেই রাজনীতি রাজধানী দিল্লিতে। ক্ষমতায় আসার মাত্র তিনমাসের মধ্যে দিল্লির বাঙালি অধ্যুষিত চিত্তরঞ্জন পার্কে মাছের বাজারই তুলে দিল স্বঘোষিত ধর্মের রক্ষক গুণ্ডারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি বারবার তুলে ধরা হলেও নীরব অমিত শাহের দিল্লি পুলিশ। ধর্মের ধ্বজাধারী গুণ্ডাবাহিনী পরিষ্কার বার্তা দেয় ৬০ বছর ধরে হনুমান মন্দিরের পাশে যে মাছ-মাংসের বাজার রয়েছে তা আর চলবে না। এটাই ধর্মের ইচ্ছা!

আরও পড়ুন- রাতারাতি শতাধিক বাড়ি পুড়ে ছাই! আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

বিজেপির তিনমাসের শাসনে যে নজির দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে দেখল দিল্লির বাঙালিরা, সেই ছবিই তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua moitra)। কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, চিত্তরঞ্জন পার্কের যে মন্দিরটি, বিজেপির গুণ্ডারা দাবি করেছে সেটি না কি নিরামিষাসীদের তৈরি। তাঁরা ওখানে উপাসনা করেন – বড় পুজো হয় ওখানে। দিল্লিতে তিনমাসের বিজেপি সরকারের পূর্তির সেরা উপহার।

তৃণমূল সাংসদ চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকা সাধারণ বাঙালিদের এই সমস্যার কথা তুলে ধরার পরই তাঁকে নিজেদের সমস্যার কথা জানান স্থানীয় বাঙালিরা। তাঁরা জানান, সেখানে ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে সব মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ বিজেপির ফতোয়ায়। প্রায় দশদিন ধরে এই সমস্যায় সেখানকার বাসিন্দারা। সেখানেই মহুয়ার প্রশ্ন, তবে কী সেখানে ধোকলা খেতেই বাধ্য থাকবেন স্থানীয় মানুষ। এর পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের দিকেও আঙুল তোলেন মহুয়া। ভিডিও তুলে ধরে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি দিল্লির পুলিশ। যে মন্দির তাঁরা তৈরি করেছিলেন, সেই মাছ ব্যবসায়ীদের আইনি দোকান হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ অমিত শাহের দিল্লি পুলিশ।

Latest article