সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বাঁকুড়া (Bankura) এমনিতেই শুষ্ক মালভূমি অঞ্চল। এখানে কৃষি উৎপাদন ততটা হয় না। ইদানীং ১০০ দিনের কাজ প্রায় বন্ধ। এই অবস্থায় মার্চ ও এপ্রিলে জঙ্গল থেকে মহুল বা মোল সংগ্রহ করে বেশ কিছু পরিবার কিছু অর্থ উপার্জন করে। সেই কাজ চলছে এখন। সাতসকালে সোনামুখীর জঙ্গলঘেড়া এলাকায় দেখা পাওয়া গেল রাজেন্দ্র মন্ডির সঙ্গে। একটা ঝুড়ি নিয়ে মহুল গাছের তলায় একমনে মহুল সংগ্রহে ব্যস্ত। এই মহুল তাঁরা বাইরে থেকে আসা পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। বাড়িতে খাবার হিসাবেও ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের স্কুল বাস, পুলকারের জন্য রাজ্যের নয়া গাইডলাইন
তিনি বলেন, বাড়ছে চোরাশিকার, তাই কমতে শুরু করেছে মহুল গাছের সংখ্যা। সাধারণত এই গাছ ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। হলুদ রঙের এই ফলে প্রচুর শর্করা, খনিজদ্রব্য, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম থাকে। মানুষ এ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না করার পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন। মহুয়ার তেল থেকে চামড়ার বিভিন্ন রোগের ওষুধও তৈরি হয়। বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে সাম্প্রতিক কালে বেড়েছে হাতির দৌরাত্ম্য। তা সত্ত্বেও পেটের তাগিদে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে মহুল সংগ্রহ করতে হয় রাজেন্দ্রর মতো মানুষজনকে। কষ্ট করে মহুল জোগাড় করলেও ন্যায্য দাম মেলে না। অন্য রাজ্যেও এই মহুলের চাহিদা রয়েছে। জঙ্গলমহলের এই মানুষগুলোর দাবি, সরকার কেন্দুপাতা-সহ অন্য বনজ সম্পদের নির্ধারিত মূল্য যেমন ঠিক করছে, সেইভাবে মহুলের ক্ষেত্রেও যদি তা করে তাহলে তাঁরা আশার আলো দেখতে পাবেন।