ক্লাসরুমে বিয়ের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (MAKAUT) রেজিস্ট্রারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন মনস্তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যাকাউট-এ ক্লাসরুমে বিয়ের ঘটনায় বিভাগীয় প্রধানের দাবি উড়িয়ে তদন্ত কমিটি জানায়, এটি ‘মজার নামে অসভ্যতা’। এই ঘটনার সঙ্গে প্রজেক্ট বা নাটকের কোনও সম্পর্ক নেই। অধ্যাপিকা পায়েলকে ছুটিতেই থাকার নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লেন অধ্যাপিকা।
ক্লাসরুমের ভিতরে বিয়ের আসর ‘বর’ কলেজেরই (MAKAUT) প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর ‘কনে’ অ্যা প্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়! এই চমকপ্রদ বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যানলয় ‘ম্যাকাউট’-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে। ভিডিওয় যে ছাত্রকে বর রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যা লয় ক্যাদম্পাসে কানাঘুষো। ভিডিও ভাইরাল হতে সেই আগুনে ঘি পড়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- মালগাড়ির সংঘর্ষ যোগীরাজ্যে, প্রশ্ন নজরদারি নিয়ে
প্রথমে এটিকে প্রজেক্টের অংশ বলে দাবি করেন পায়েল। পরে তিনি বলেন, এটা একটা নাটকের অংশ। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। সেই কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় ম্যাকাউট-এর উপাচার্যের কাছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নাটকের অংশ বলে যে দাবি করেছিলেন পায়েল, সম্পূর্ণ তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এটা “মজার নামে অসভ্যতা” বলে জানায় তদন্ত কমিটি। ফলে অধ্যাপিকাকে ছুটিতেই থাকতে বলা হয়।
যদিও পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় জানান, “আমার কাছে অফিশিয়ালি এই বিষয়ে কোনও ইনফরমেশন আসেনি। এবং আমার কাছে কোনও মেইলও আসেনি। আমাকে কোনও কিছু জানায়ওনি। যতক্ষণ অবধি অফিশিয়ালি কেউ এই জিনিসটা জানাবে না , ততক্ষণ অবধি এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেওয়াটা উচিত নয়।” এবার ইস্তফা দিলেন তিনি।