বৃহস্পতিবার ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’-এর মঞ্চ থেকে টিটাগড় রেল সিস্টেমের ভাইস চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর উমেশ চৌধুরী (Umesh Choudhury)জানান, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি সবাইকে জানাতে চাই আগে ২০০ ওয়াগন বানাতাম, ছোট একটা কারখানা ছিল। গত ১০-১২ বছরে আমরা ৩টি জায়গা তৈরী করতে পেরেছি। এখন ১০০০ ওয়াগন বানাই। রাজ্যে আমরাই এখন সবথেকে বড় ওয়াগন প্রস্তুতকারক।” মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ” আমাদের ফলতাতে যে ওয়াগন কারখানা আছে সেখানে মাল যাওয়া আসা খুব সমস্যা ছিল। আমাদের সেখানে ‘একসেস’ ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জেলা পর্যালোচনা বৈঠকের সময় দায়িত্ব নিয়ে ঠিক করিয়েছেন। এখন তাই আমরা অনেকটাই উন্নতি করতে পেরেছি। এছাড়া আমরা রাজ্যে সবথেকে বড় রেলের কোচ প্রস্তুতকারক হতে চলেছি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ৩ বছর আগে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কোচ বানানোর কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন। সেখানে জমি কম থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। এবার আমরা সরকারের থেকে লীজে জমি পেয়েছি। তাই ১০০০ মেট্রো ও বন্দে ভারত কোচ তৈরী করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, ”ফলতাতে একটা শিপইয়ার্ড হবে যেখানে ১৬ থেকে ১৮টি স্পেশালাইস্ড জাহাজ করব। কালই আমাদের নেভির প্রথম ‘মেক ইন ইন্ডিয়া ভেসেল’ উদ্বোধন হল আর ওখানে আমরা স্পেশালাইস্ড নেভি ভেসেল করব। এই ক্ষেত্রে জমি দেওয়া হয়েছে তাই আগামী ১ বছরের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। যে জিনিস আমাদের রাজ্য থেকে কেনা হবে প্রতি বছর ৬-৮০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এমএসএমইর ও রাজ্যের শিল্পের। প্রায় ১০০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কথা দিচ্ছি আমরা বাংলাকেই প্রাধান্য দেব। মেক ইন ইন্ডিয়ার মত মেক ইন বেঙ্গলকেই এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলার গর্ব ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র আর সেই দিক থেকে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন-নতুন করে আরও ১৫,৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ: সঞ্জীব গোয়েঙ্কা
এরপরই তিনি বলেন, ”শুধু ওয়াগন তৈরী করতাম এখন আমরা রাজ্যের সবথেকে বড় মেট্রো কোচ করতে যাচ্ছি। আরামদায়কভাবে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করার ক্ষেত্রে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন তৈরি হবে বাংলায়। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। টিটাগড় রেল সিস্টেম লিমিটেড (TRSL) ও ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (BHEL) শুধুমাত্র বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন তৈরির জন্য বিশেষ প্রোডাকশন লাইন তৈরি করেছে। হুগলির উত্তরপাড়ায় সেই প্রোডাকশন লাইনের উদ্বোধন ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। বর্তমানে এক বছরে ৩০০ কোচ তৈরির ক্ষমতা রাখে টিটাগড় রেল সিস্টেম। এই সংখ্যাটা সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৮৫০ করা হবে।”

