রাত পোহালেই বড়দিন (Christmas)। সেজে উঠেছে শহর (Kolkata)। পার্কস্ট্রিট (Park street) মানেই কেক, সান্তা আর বড়দিনের অনেক আনন্দ। এর মাঝেই পর্তুগিজ (Portuguese church) চার্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাসন্তান আজানিয়া। প্রার্থনায় শুরু হয়েছে আজকের রাতের অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা ও সম্মান প্রদান করে চার্চের ফাদার পরবর্তী অনুষ্ঠান শুরু করেন।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ায় আহত কর্মীদের দেখে কর্মসূচি ঘোষণা কুণাল ঘোষের
শনিবারের বিকাল থেকেই পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বড়দিনের আনন্দে আট থেকে আশি উচ্ছসিত সকলেই। আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে লাল-সাদা টুপির ভিড়। খাওয়া আনন্দ সব মিলিয়ে রাত্রিকালীন তিলোত্তমা জমজমাট।
আরও পড়ুন-বন্ধুর টানে মেসির বাড়িতে সুয়ারেজ
শতাব্দী প্রাচীন এই গির্জায় ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গির্জার ভিতরে ক্যারলে অংশ নেন তাঁরা। ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু’ গানে হয় প্রার্থনা। বড়দিন উপলক্ষ্যে আলোকোজ্জ্বল এই গির্জা। বড়দিনের বিশেষ ক্যারল অংশ গ্রহণ করেন মমতা, অভিষেক ও তাঁর কন্যা।
ক্যারালে পর সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। গির্জার তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়। মমতা, অভিষেক ও আজানিয়াকে আশীর্বাদ করেন বিশপ। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-আমেরিকায় প্রবল তুষারঝড়ের শঙ্কা, বাতিল হল চার হাজার উড়ান
২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমান গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যে পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছরই ২৪ ডিসেম্বর রাতে তিনি গির্জায় ক্রিসমাসের বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন মমতা।
দুর্গাপুজো-কালীপুজো-জগদ্ধাত্রীপুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি রেড রোডে (Red Road) ঈদের নমাজেও অংশগ্রহণ করেন মমতা। প্রতিবছর বড়দিনের ক্যারলে যোগ দেন। বাংলায় সাম্প্রতিক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী