‘সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম’, ইতিহাসের পাতা থেকে…

Must read

১৯৯৫। বাম জমানা। একের পর এক জনবিরোধী নীতি আর গা শিউরে ওঠা ঘটনাপ্রবাহ। পুলিশ লক-আপে পরপর মৃত্যু। গোটা রাজ্যের মানুষ ক্ষুব্ধ। অগ্নিগর্ভ কলকাতা। বিরোধী আন্দোলনে তছনছ বাম সরকার।
প্রতিবাদে রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলা। মেট্রো সিনেমার উল্টো দিক। ধরনা চলছে। প্রতিবাদে মুখর নেত্রী ধরনা মঞ্চেই ধরলেন কলম। লেখা শুরু করলেন। পাশে সতীর্থ নেত্রী মালা রায়। ‘সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম/জীবনের অপর নাম সংগ্রাম/সংকট পেরিয়ে চলতে হবে’… তৈরি হল গান। সুর দিলেন। তারপর কিবোর্ড বাজিয়ে গাইলেন সকলে মিলে। সময় পেরিয়েছে। বহু মঞ্চে এই গান গাওয়া হয়েছে। জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছে। প্রায় ২৮-২৯ বছর পর আবার ধরনা মঞ্চে নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী। সেই গান আবার ফিরে এল রেড রোডের মঞ্চে। সকলে মিলে গাইলেন ‘সংগ্রাম-সংগ্রাম’। গলা মেলালেন নেত্রী। এবং কী আশ্চর্য, ২০২৪-র ৩ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় নেত্রী পাশে মালা রায়, সাংসদ-কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। ফিরে এল ইতিহাস। যার সাক্ষী হয়ে রইল রেড রোডের জনস্রোত। গানে গানে উত্তাল হলেন প্রতিবাদী জনতা।

সন্ধ্যায় নেত্রী, পাশে মালা রায়, সাংসদ-কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। ফিরে এল ইতিহাস। যার সাক্ষী হয়ে রইল রেড রোডের জনস্রোত। গানে গানে উত্তাল হলেন প্রতিবাদী জনতা।
সেদিনের সেই গান…

সংগ্রাম

(সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম
জীবনের অপর নাম সংগ্রাম)-২
সংকট পেরিয়ে চলতে হবে
পায়ে পায়ে পা ফেলে এগিয়ে যাবে,
মনকে দুর্বল করো না।
না-না-হেরো না-হেরো না।
সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম …….

(জীবন সংগ্রামে বাঁচতে হলে
সংকীর্ণতাকে দাও ফেলে)-২
আস্থা হারিয়ে ফেলো না
না-না-ভেবো না-ভেবো না।
সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম …….

(চারিদিকে দ্যাখো কত বিস্ময়।
দ্যাখো যদি করতে পারো জয়)-২
বিশ্বাস হারিয়ে ফেলো না
না-না হেরো না, হেরো না।
সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম …….

(একদিন সংগ্রাম শেষ হবে
বাঁচার মতো আলো দেখতে পাবে)-২
দুর্যোগকে ভয় করো না
না-না-হেরো না-হেরো না।
সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম …….

Latest article