সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনা অনেকটাই সাজানো। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। আগেই এই অভিযোগ করেছিল রাজ্যের শাসকদল। এবার লোকসভা ভোটের মধ্যে সন্দেশখালির কাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’। ভিডিওতে সন্দেশখালির এক বিজেপির এক নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যে ষড়যন্ত্রের ছক রচনা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নিয়ে বিজেপিকে (BJP) তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, “তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার না করাতে পারলে আন্দোলন করা যাবে না। শুভেন্দুদা বলেছিলেন, গ্রেফতার না করালে ভোটেও দাঁড়ানো যাবে না। শুভেন্দু অধিকারী টাকা-মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছেন।” এই নিয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে গর্জে উঠলেন মমতা ও অভিষেক।
আরও পড়ুন- শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার
তৃণমূল সভানেত্রী লেখেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) চাঞ্চল্য়কর স্টিং দেখে বোঝা যায়, বিজেপির কত গভীর পর্যন্ত পচন ধরেছে। বাংলার প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা এবং সংস্কৃতির প্রতি ঘৃণায় বাংলা বিরোধীরা আমাদের রাজ্যকে বদনাম করতে সবরকমের ষড়যন্ত্র করেছে। ভারতের এযাবৎকালীন ইতিহাসে দিল্লিতে এমন শাসকদল একটিও দেখা যায়নি, যারা একটা গোটা রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে এভাবে বদনাম করার চেষ্টা করেছে। দিল্লির এই ষড়যন্ত্রকারী সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় বাংলা, কীভাবে তাদের বিসর্জন দেয়, ইতিহাস তার সাক্ষী থাকবে।“
অভিষেক লেখেন, “সন্দেশখালির স্টিং ভিডিও দেখে আমি হতবাক, বাকরুদ্ধ। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বাংলা বিরোধী বিজেপি বাংলাকে বদনাম এবং কালিমালিপ্ত করতে কী পরিকল্পনা করেছে, প্রত্যেক নাগরিকের দেখা উচিত। এই জঘন্য আচরণই প্রমাণ করে ক্ষমতার অপব্যবহার কোন পর্যায়ে যেতে পারে। লজ্জাজনক।“ শনিবারই বিকেল পাঁচটায় এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক।