সোমবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিবস। এদিন নজরুল জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসদনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গাইলেন গান। শুধু তাই নয়, নজরুল জয়ন্তী মঞ্চে ইন্দ্রনীল সেনের ভুল ধরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরে ভুল ধরিয়ে দিয়ে নিজে গাইলেন মুখ্যমন্ত্রী—‘নয়ন ভরা জল গো তোমার।’ নবান্ন থেকে ফেরার পথে রবীন্দ্রসদনে পৌঁছে মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন তাঁকে অনুরোধ করেন, ‘দিদি যখন এসেই পড়েছ, তোমার পছন্দের একটা গান করো। এক লাইন গাও। দিদি কিন্তু রবীন্দ্র, নজরুল, রজনীকান্ত—সবার গানেই সমান স্বচ্ছন্দ। অনেকেই সেটা হয়তো জানেন না।”
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে রেকর্ড ঋণদানে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল বাংলা
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো সময়ই পাই না। প্র্যাকটিস করি না, চর্চা করি না। সকাল থেকে ফাইল ফাইল ঘেঁটে ঘেঁটে আর বক বক করে করে আমার গলা থেকে সুর বেরোনো মুশকিল হয়ে যায়। রূপঙ্কর, ইমন, মনোময়, রাঘব, ডোনা সবাই বসে আছে। ওদের বসিয়ে রেখে আমার গান গাওয়া শোভা পায় না।” গানের শুরুতেই তিনি বলেন, “দেখো, আমার কিন্তু কথার ভুল হলে ধরবে না। আমার কাছে কাগজ নেই। ছোটবেলায় রেডিওতে শুনতাম, সেভাবেই শিখেছি।”
ইন্দ্রনীল সেন গাইলেন, ‘নয়ন ভরা জল গো তোমার/ আঁচল ভরা ফুল’। দ্বিতীয় পংক্তি শুরুর মুখেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, “ভুল… তুমি ভুল সুরে গাইছো।” এর পর প্রথম থেকে গানটি ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে এদিনের স্বল্প সময়ের অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বালি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সব আসনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস
প্রসঙ্গত, নজরুলের জন্মদিবসে সকালেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তিনি লেখেন, “মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান”। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য। আমরা কবির স্মরণে তাঁর জন্মক্ষেত্রের কাছে আসানসোলে তাঁর নামে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, ওই অঞ্চলেই অন্ডালে আমাদের গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের নাম রেখেছি ‘কাজী নজরুল ইসলাম এয়ারপোর্ট’। তাঁরই প্রতি শ্রদ্ধায় করেছি ‘নজরুল তীর্থ’ এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমি’। প্রকাশ করেছি কবির উপর নানা গবেষণা-গ্রন্থ। কবি আমাদের নিত্য-স্মরণীয়!”