গত শনিবার রাতে খিদিরপুরের দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার রিমাউন্ট রোডে উল্টে যায় বেপোয়ার গতিতে চলা একটি ট্রাক। পণ্যবোঝাই ট্রাকটি একটি প্রাইভেট কারের উপর পড়ার ফলে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যায় গাড়িটি। সেই প্রাইভেট কারে চালকের আসনে ছিলেন কলকাতা পুরসভার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার রামপেয়ারি রামের পুত্র রামকিঙ্কর (৩৮)। যত দ্রুত সম্ভব তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা রামকিঙ্করকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ, সোমবার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কাউন্সিলর ও বর্ষীয়ান নেতা রামপ্যারে রামের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে সমবেদনা জানান। জানা গিয়েছে, এদিন মেও রোডে গান্ধীমূর্তি পাদদেশে তৃণমূলের ছাত্রসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগদানের পর কর্মসূচি শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপ্যারে রামের সঙ্গে দেখা করেন। বেশকিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান, “আমি আজ আমাদের কাউন্সিলর শ্রী রাম প্যারে রামের সঙ্গে দেখা করেছি, যিনি সম্প্রতি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাঁর ছেলেকে হারিয়েছেন। এই শোকের মুহূর্তে আমার সমবেদনা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে। অকালে প্রয়াত তাঁর পুত্রের আত্মার শান্তি কামনা করি।”
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনায় পুলিশের অনুমান, বৃষ্টির জলে ডুবে যাওয়া রাস্তার খানাখন্দ বুঝতে পারেননি ট্রাকচালক। তখনই কাউন্সিলরের ছেলের গাড়ির উপর সেটি পড়ে। গাড়ির মধ্যে রামকিঙ্কর ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। দুর্ঘটনার পর ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা গাড়ি থেকে চালকের হাত বের হয়ে থাকতে দেখেন। শুরু হয় উদ্ধারের চেষ্টা। কিন্তু, তাঁদের পক্ষে রামকিঙ্করকে বার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ছুটে এসে উদ্ধার কাজের জন্য খবর দেওয়া দেয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। প্রথমে ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকটিকে কিছুটা তুলে ধরা হয়। বের করে আনা হয় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট গাড়িটি। তখনও গাড়ি থেকে রামকিঙ্করকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে আনা হয় গ্যাস কাটার। তা দিয়েই গাড়ি কেটে বের করা হয় রামকিঙ্করকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।