প্রতিবেদন : বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে রুখে দিয়ে আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সে দক্ষতা তাঁর রয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্যই বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন অমর্ত্য সেন। তাঁর মতে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন একতরফা বিজেপির পক্ষে হবে না। কারণ তাদের উগ্র হিন্দুত্ব ও অন্যান্য অনেক বিষয়ে দেশবাসীর ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর আমি মনে করি এই ক্ষোভ ও জনরোষকে কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে সরাতে সামনে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কাল রাজ্য জুড়ে আইনজীবীদের কালাদিবস পালন
বিজেপির হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান এই ভাবনা ও দেশজুড়ে তার সোচ্চার প্রয়াসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন অধ্যাপক সেন। তিনি বলেন, দেশ নয়, হিন্দুত্বের প্রতি বিজেপির বেশি নজর। হিন্দু ভারত ও হিন্দিভাষী ভারতের বিচার ধারাকে আজ অনেকটাই সংকীর্ণতার মধ্যে নিয়ে এসেছে৷ ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপির কল্যাণে যেভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদের জিগির শুরু হয়েছে তার বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন-বিজেপি-র ‘কুৎসিত অপপ্রচার’ উড়িয়ে রাজপথে বসে জমিয়ে স্ট্রিট ফুড খেলেন শতাব্দী, সঙ্গে কুণালও
অমর্ত্য সেনের এই সাক্ষাৎকার হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। বিশেষ করে তিনি যেভাবে খুলে আম বিজেপির সমস্ত জনবিরোধী নীতি ও উগ্রতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার দম ও ক্ষমতা দুই-ই রাখেন এই বিস্ফোরক বয়ান নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। এখন দেখার নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে কীভাবে দাঁত-নখ বের করে আক্রমণে নামে বিজেপির বীরপুঙ্গবরা।