প্রতিবেদন : ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে তিনি কতটা সিরিয়াস সেটা চেতলার কর্মিসভাতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, এটা তাঁর বা তাঁর দলের কাছে একটা আপাত-নিরীহ উপনির্বাচন নয়, এই ভোট ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার ভোট। নন্দীগ্রামের জবাব দিতে হবে ভবানীপুরে। তাই জয় কার্যত নিশ্চিত হলেও রেকর্ড মার্জিন চায় ঘাসফুল শিবির।
উপনির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে শাসক তৃণমূল। শনিবার থেকে প্রচার ও জনসংযোগে নেমে পড়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রশাসনিক কাজের শেষে নিয়ম করে জনসংযোগ সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন :রাজ্য সরকারের উদ্যোগ, চা-বলয়ে আগাম বোনাস
এবার করোনা বিধি মেনে তৃণমূলনেত্রীর আগামী পাঁচটি ওয়ার্ডে ঘরোয়া সভার কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতারা। সূচি অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের একবালপুরের ইব্রাহিম রোডে এক ঘরোয়া সভায় অংশ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এই ওয়ার্ডের ষোলোআনা মসজিদ এলাকায় প্রথম দফায় ঘুরে প্রচার সেরে এসেছেন তিনি। এ বার ঘরোয়া বৈঠকে ভোটার ও বিশিষ্ট জনেদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ সেপ্টেম্বর ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের অহীন্দ্র মঞ্চে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। যদিও অহীন্দ্র মঞ্চে ভবানীপুর বিধানসভার কর্মী সম্মেলন করে গিয়েছেন মমতা। তখন ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেননি মমতা। এ বার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোট চাইবেন তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবেড়িয়া উত্তর ও পদ্মপুকুর এলাকার ভোটারদের মধ্যে প্রচার চালাবেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী। ২৫ সেপ্টেম্বর ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলিন রোড ও শেক্সপিয়ার সরণি থানার কাছে দু’টি ছোট ছোট ঘরোয়া সভা করতে পারেন মমতা। ২৬ সেপ্টেম্বর ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের পাড়া হরিশ মুখার্জি রোডের সভা দিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রচার শেষ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি সভাই হবে বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে।