প্রতিবেদন : স্বাধীনতা দিবসে ত্রিপুরায় পরপর দু’বার হামলার অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও অপরূপা পোদ্দারের গাড়ির উপর। এই ঘটনার পর তাদের ফোন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন তিনি। দলীয় সাংসদদের ওপর এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর আনাড়ি মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মাতঙ্গিনীর জেলার মানুষ
প্রথমে টুইটে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে জঙ্গলরাজের সন্ত্রাস”। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল অভিযোগ করেন, “ত্রিপুরায় অলিখিত জরুরি অবস্থা জারি করছে বিজেপি সরকার। আমাদের দুই সাংসদের উপর কুৎসিত হামলা হয়েছে। দোলা সেনের সহায়ক গুরুতর জখম। অপরূপা পোদ্দারের ফোন, ব্যাগ সব কেড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে”। একজন বৃদ্ধা সেই ব্যাগ কুড়িয়ে তুলে দিয়েছেন বলে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৪৮ঘণ্টার মধ্যেই এল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রথমে থাইরুমে তৃণমূল সাংসদের গাড়ির উপর হামলা করা হয়। মাথা ফাটে দোলা সেনের আপ্তসহায়কের। অপরূপা পোদ্দারের ব্যাগ ও নথি ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। দুই সাংসদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বেলুনিয়ায় ফের গাড়িতে ইট ছোড়া হয়। দোলার অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে একটি মিছিল করেন ত্রিপুরায় থাকা অন্য তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষরা। ত্রিপুরায় গান্ধি মূর্তির সামনে বসে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন সেখানকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। চিকিৎসার জন্য দোলা সেন ও অপরূপা পোদ্দার কলকাতায় ফিরে এসেছেন। ফিরে এসেছেন দোলা সেনের আপ্তসহায়কও।