প্রতিবেদন : উত্তরবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিন। রাজনীতি , প্রশাসন সব চিন্তা যেন তাঁর মাথা থেকে সরে গিয়েছে। চোখের সামনে পাহাড়। হালকা মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সকাল সকাল কার্শিয়াংয়ের পাহাড়ি পথে হেঁটে হেঁটে ঘুরলেন তিনি। চিরাচরিত ভঙ্গিতে কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে। হঠাৎ দাঁড়ালেন। তারপরেই রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রাস্তার পাশের দোকান থেকে কেনাকাটাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ি পথে তাঁর সঙ্গী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন ও তাঁর গান।
চারদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শিলিগুড়ি পৌঁছেই একের পর এক সভা করেন তিনি। মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। মঙ্গলবার, কার্শিয়ঙের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দার্জিলিং সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেরেছেন তিনি। সেখানেই সার্কিট হাউজে রাতে থেকে সকালে হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন মমতা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন : বিজেপিকে প্রাক্তন করে তৃণমূলে যোগ বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর
প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যান মহানদী ভিউ পয়েন্ট গিদ্দায়। সকালে পাহাড়ি রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে দেখে অবাক স্থানীয়রা। বরাবরই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পছন্দ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিশুকে আদরও করেন।
এরপর মহানদী পয়েন্টে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে চা খান। দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। সেই আড্ডায় যোগ দেন ইন্দ্রনীল সেন । ওই রকম পরিবেশে তাঁকে গান গাওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গান শোনান ইন্দ্রনীল। পরে একটি দোকান থেকে দুজোড়া জুতো কেনেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর একেবারে নিকটাত্মীয়ের মতো আচরণে আপ্লুত পাহাড়ের বাসিন্দারা।