উস্তাদ রশিদ খানের (Rashid Khan- Mamata Banerjee) প্রয়াণে গভীর শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উস্তাদ বলতেন, “তুমি আমার মা আছো”। উস্তাদের অসুস্থতার সময় সবরকম সাহায্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রশিদের চলে যাওয়া বিরাট ক্ষতি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবাবের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, ”আমি ওদের অভিভাবক হয়ে থাকব”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “খুবই দুঃখের দিন। রশিদ (Rashid Khan- Mamata Banerjee) নেই ভাবতে পারছি না। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। জয়নগরের সভা সেরে নবান্নে ফিরে খবর পেয়েই হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই উস্তাদ রশিদ খানের মৃত্যুর খবর পান। বলেন, রশিদ আলি খান আমার ভাই ছিল।
মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই মৃত্যু হল রশিদ খানের। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এটা সুখের সময় নয়, দুঃখের সময়। আমার ভাই ছিল। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলেছে। ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। খবরটা শুনে আমরা সবাই শোকাহত”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জয়নগর থেকে নবান্ন ফেরার পরেই খবর পান। “নবান্নতে ফেরার পরেই খবর আসে। তখনও শেষ ইনফো ছিল না।“
আরও পড়ুন- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে নক্ষত্র পতন, প্রয়াত উস্তাদ রশিদ খান
এরপর এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “উস্তাদ রশিদ খান বঙ্গ বিভূষণ এবং সঙ্গীত মহাসম্মানও পেয়েছেন। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।“
Deeply saddened by the tragic demise of Ustad Rashid Khan, one of the greatest exponents of Indian classical music of our times.
A hugely respected vocalist with unparalleled genius in creating music, he made us proud by settling here and making Bengal his home. He and Soma,…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 9, 2024
বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, রশিদ খান বিশ্ববিখ্য়াত নাম। সঙ্গীতসম্রাট। বাংলাকে ভালবেসে বাংলায় থেকে গিয়েছেন। রশিদকে গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার, সন্ধে ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে থাকবে সঙ্গীতশিল্পীর দেহ। ৬টার পরে দেহ নিয়ে ইন্দ্রনীল সেন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, তারক চক্রবর্তী, ডিসি ও সিপি পিস ওয়ার্ল্ডে যাবেন। বুধবার সকাল ৯টায় পিস ওয়ার্ল্ড থেকে দেহ নিয়ে বেরোবে। সকাল সাড়ে ৯ থেকে দেহ রাখা হবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে গুণমুগ্ধরা শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপরে বেলা ১টায় রবীন্দ্র সদনেই গান স্যালুটে শেষশ্রদ্ধা জানানো হবে। সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। ধর্মীয় আচার পালনের পরে টালিগঞ্জ কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হবে।