প্রতিবেদন: দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সম্পত্তির অঙ্ক মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন এবং কৃচ্ছসাধন ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁকে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। করে তুলেছে সাধারণ মানুষের অতি আপনজন। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআরএর রিপোর্ট বলছে, তিনি দেশের মধ্যে সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী। এই রিপোর্ট অনুযায়ীই দেশের সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চন্দ্রবাবু নাইডু।
আরও পড়ুন-বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পথেই কেজরিওয়াল
বিজেপি-বন্ধু অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা। ধনী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও চন্দ্রবাবুর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন অরুণাচলের পেমা খাণ্ডু। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩২ কোটি টাকা। লক্ষণীয়, প্রথম এবং দ্বিতীয় দু’টি স্থানই দখল করে রয়েছেন দুই এনডিএ শরিক। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, দেশের একমাত্র সর্বহারা প্রতিনিধি হিসাবে নিজেকে দাবি করলেও কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও কোটি টাকার মালিক। দেশের দ্বিতীয় গরিব মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রিপোর্টে দেখানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীররে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিভিন্ন রাজ্যবিধানসভা থেকে যে তথ্য মিলেছে তারই ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এডিআরএর এই রিপোর্ট। এই রিপোর্টেই প্রমাণিত গেরুয়া শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীরা কীভাবে দ্রুত ফুলেফেঁপে লাল হয়ে উঠছেন। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের যথেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে আত্মত্যাগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন।
লক্ষণীয়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে কোনও পেনশন নেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বা বিধায়ক হিসাবে মাসে তোলেন মাত্র ১ টাকা বেতন। বই এবং গানের রয়ালটির ওপরেই চলে তাঁর সাধারণ জীবনযাত্রা।