প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার ক্ষমতা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২১৩টি আসনে জয় পায় ঘাসফুল শিবির। এবং সব কেন্দ্রেই কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে মানুষ ভোট দেয়। আবার নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়িছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মে ফলাফল ঘোষণার দিন তৃণমূল জিতে গেছে জানা যায়। কিন্তু তারপরই কোনও এক অজানা কারণে নন্দীগ্রামে তৃণমূলকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। বিতর্কিত এই ফল নিয়ে আদালতে এখন মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের পুরোনো কেন্দ্র ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন :আচমকা লাল-হলুদে ফাওলার বিদায়, এল নতুন কোচ
চেতলায় ছিল তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কর্মিসভা। হাজির ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এদিনই কার্যত ভোট প্রচারে নেমে পড়েন তিনি। বুধবার ভবানীপুরের কর্মিসভায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে (Subrata Bakshi) উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেত্রী খুব তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। চেতলার ভরা অহীন্দ্র মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “এখন যদি আমি বক্সিদাকে বলি বক্সিদা আমার সঙ্গে ঝগড়া করবেন। আমি ওদের বললাম আমাকে ছেড়ে দিন না, কী দরকার? আমি তো এতদিন করলাম, এবার আপনারা করুন, আমি আছি, আমিই সবটা করে দেব। বলল, না হবে না। সবার জন্য এক ব্যক্তি এক পদ আর আমার জন্য বলবে চেয়ারম্যানও থাকতে হবে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার সঙ্গে এই বিভেদ কেন? সে ওরা শুনবে না। জিজ্ঞেস করুন সামনে দাঁড়িয়েই বলছি। কিন্তু ওরা কিছুতেই শুনলো না।”
এদিন তৃণমূল নেত্রীর এমন মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলের শীর্ষনেতাদের প্রবল অনুরোধেই তিনি “এক ব্যক্তি এক পথ” ফর্মুলা তাঁর জন্য কার্যকর হয়নি। যদিও তিনি সেটাই চেয়েছিলেন।