প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার গোয়ায় পা রাখছেন তৃনমুল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন পৌঁছে গোয়ার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করবেন তিনি। শুক্রবার থেকে শুরু হবে তাঁর জনসভা অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের জন্য মুখিয়ে আছে গেয়াবাসী। তাঁদের জন্য দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী কি বার্তা দেন আগ্রহ রয়েছে সেদিকেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গোয়া সফর নজরে থাকবে গোটা দেশের রাজনীতিকদের।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তৃনমুল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী তাঁর রাজনৈতিক জীবনে হাজারো কঠিন থেকে কঠিনতম যুদ্ধ জয় করেছেন তাঁর অদম্য সাহস, আত্মবিশ্বাস, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, জনমোহীনি ক্ষমতা, পাবলিক পালস বোঝার অবিশ্বাস্য বিরল দক্ষতা এবং ইনটিউশন দিয়ে। গোয়ার ক্ষেত্রেও এই জিনিসগুলি ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। এই একই রকম আত্মবিশ্বাস ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে ২০২১ এ বাংলার কঠিনতম বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রপসের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অন্যতম কারিগর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনিও গোয়া জয় নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসি। এবার গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোয়া জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে দল। বৃহস্পতিবার গোয়ায় পা রাখছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার আগে গোয়ায় উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃনমুল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি লুই জিনহ ফেলারিও যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন : পাহাড়ি পথে অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গত একমাসে গোয়ার অন্যান্য দল থেকে বহু নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিচ্ছেন প্রতিদিনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে গোয়া। দলনেত্রীর ছবি দেওয়া হোর্ডিং, ব্যানার ফেস্টুনে ভরে গেছে গোয়া। পানাজীতে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে সম্প্রতি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের গোয়া সফরের আগেই স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পারা গোয়ার বিজেপি নেতারা দলের গুন্ডাদের দিয়ে দলনেত্রীর ছবি দেওয়া হোর্ডিং ভেঙে দিয়েছে। ব্যানার ছিঁড়ে দিয়েছে। পুলিশ পাঠিয়ে দলের ক্যাম্পেইন লঞ্চ অনুষ্ঠান মাঝপথে বন্ধ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসে গোয়ার আমজনতার কাছে বিজেপ সরকারের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে।
গোয়ার রাজ্যপালের কাছে দেখা করে দূর্নীতি সহ একাধিক ইস্যু তে স্মারকলিপি দিয়েছে দল। এবার গোয়ার সাধারণ মানুষের দরবারে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলে ধরা। তাঁদের মন জিতে নেওয়া। গোয়ার আমজনতার না পাওয়াকে বিজেপি কোনওদিন গুরুত্বই দেয়নি। মৃত সিদ্ধি নায়েকের মত অসহায় বাবা-মায়েরা তাঁদের পরিজনদের হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে আছেন৷ তাঁরা সঠিক বিচার পাননি। গোয়ার যুবক-যুবতিদের হাতে কাজ নেই। এরকম হাজারো ইস্যুকে সামনে রেখে গোয়ায় প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। আগামী দিনে যা আরও গতি পাবে। বুধবারও দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন সাংবাদিক বৈঠক করে দলনেত্রীর ছবি দেওয়া হোর্ডিং ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি জানান, এই হোর্ডিং ব্যানারের কাজ পেয়েছিলেন গোয়ার স্থানীয় ব্যাবসায়ী চুক্তি অনুযায়ী এই। ভাঙচুরের দা তাঁর। ফলে তাঁর আর্থিক ক্ষতি হল৷ এভাবে স্থানীয় ব্যবাসায়ীদেরই ক্ষতি করছে বিজেপি।