প্রতিবেদন : মহালয়ায় নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ-এর উদ্বোধন থেকে চেতলা অগ্রণী মাতৃমূর্তিতে চক্ষুদান করেই শারদোৎসবের সূচনা করে করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার তৃতীয়ার দিনও সেই ধারাবাহিকতা। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সর্বপ্রথম গরিয়াহাটের ঐতিহ্যবাহী একডালিয়া এভারগ্রিন গ্রিন ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর একে একে প্রায় একডজন পুজো প্রাঙ্গনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরে ফাল্গুনী সংঘ, সিংহী পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল, হিন্দুস্তান পার্ক, সমাজসেবী সংঘ,
শিব মন্দির, মুদিয়ালি, ৬৬ পল্লী, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, সঙ্ঘশ্রী, মুক্ত দল, ত্রিধারার মতো জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপের দ্বার খুলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে।
এদিন একডালিয়ার পুজো উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃতির খামখেয়ালির কথা তুলে ধরেন। কখনও মেঘলা আকাশ আবার কখনও বৃষ্টি আশিষ ধারার মতো ঝরে পড়ছে। পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। সমস্ত সুরক্ষা নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পরার জন্য রাজ্যবাসীকে বলেন। একইসঙ্গে উৎসবের দিনগুলিতে পুলিশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রতিটি পুজো সংগঠনকে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসব পালন করার আর্জি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : কংগ্রেসকে “গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি” বলে নিশানা প্রশান্ত কিশোরের
একডালিয়ার পুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুব্রতদার এই পুজোর একটি ঐতিহ্য আছে। বনেদিয়ানা আছে। এবারও দেখলাম তারা নিজেদের সেই ঘরানা ধরে রেখেছে। একেবারে রাজস্থানের আদলে ঝকঝকে তকতকে একটি মণ্ডপ। আর একডালিয়া মানেই তাদের সেই বিখ্যাত ঝাড়বাতি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন সকলকে সুস্থ রাখেন। ভালো রাখেন।”
একডালিয়ার পুজো কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জানান, বছরের পর বছর ধরে এই পুজোর উদ্বোধন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন তিনি সাংসদ ছিলেন তখনও উদ্বোধন করতেন, এখন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উদ্বোধন করেন। ওনাকে ছাড়া একডালিয়া পুজোর উদ্বোধন ভাবাই যায় না।