রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : ‘‘উত্তরবঙ্গকে দ্বিখণ্ডিত হতে দেব না। কোনও ভাগাভাগি হতে দেব না। আমরা সবাই এক। এক হয়ে থাকব, একটা পরিবারের মতো।’’ রবিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে আরেকবার উত্তরবঙ্গকে ভাগ না হতে দেওয়ার বার্তা দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে পুলিশের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ভাষণে উত্তরবঙ্গকে যাঁরা দ্বিখণ্ডিত করতে চাইছেন, তাঁদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে ডিভাইড অ্যান্ড রুল নয়। কোনও ভাগাভাগি নয়। বাংলাটা ত্রিপুরা হয়ে যায়নি এখনও। আমরা হতে দেবে না। সংস্কৃতি ধরে রাখব।’’
সম্প্রতি কেন্দ্র যে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করেছে তার তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘আগে ১৫ কিলোমিটার ছিল। এখন ৫০ কিলোমিটার করে দিয়েছে। আর মানুষ মরে গেলে হিসেব দেয় না। আমি বিএসএফদের সম্মান করি। তাঁরা আমাদের দেশের জওয়ান। কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতা করছি।’’ উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক ভাল, আমাদের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক ভাল, আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও ভাল। তাই কেন আমরা ঝগড়া করতে যাব! বিজেপি উসকানির রাজনীতি করছে। এরা একদিন শূন্য হয়ে যাবে। এদের শুধু চাই, চাই। আর দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা।’’
আরও পড়ুন-পুজোর ছুটি শেষ হলেই স্কুল খোলার প্রস্তুতি শিক্ষা দফতরের
পুজোর সময় একাধিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ঠান্ডা লেগেছে। শরীর ভাল নেই। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। প্রথমদিনের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরোধিতার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে ১৪ কোটি টিকার প্রয়োজন। যদিও টিকা মিলেছে মাত্র ৭ কোটি।” এরপরই তাঁর দাবি, ‘‘বাংলায় একটিও টিকা নষ্ট হয়নি। সকলকে বিনামূল্যেই টিকা দেওয়া হয়েছে।’’