কর্নাটকে শেষ হল নির্বাচনী প্রচার। বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষায় দক্ষিণের এই একমাত্র রাজ্যেও বিজেপির পরাজয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকে থেকে বিজেপির পরাজয় শুরু হলে তিনি খুশি হবেন। তিনি নিশ্চিত, কর্নাটক দিয়েই বিজেপির পরাজয় শুরু হতে চলেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক দল বিজেপি। এই দল ক্ষমতাচ্যুত হলে তবেই দেশের সুদিন ফিরবে। সাধারণ মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, বিজেপি ছাড়া অন্য যেকোনও দলকে আপনারা ভোট দিন।
কর্নাটকের দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপিও। যথারীতি ভোট বৈতরণী পার হতে তাদের হাতিয়ার মেরুকরণ, বিদ্বেষ ও বিভাজনের ও রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি নেতারা সকলেই মেরুকরণের তাস খেলেছেন এ রাজ্যে। প্রায় এক মাসব্যাপী নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতাদের মুখে কখনওই উন্নয়নের কথা শোনা যায়নি। একের পর এক সভায় বিদ্বেষ ও বিভাজনের কথা বলায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। অথচ এই কমিশনকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি কোনও বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। বিজেপির তরফে সর্বশেষ অভিযোগটি জানানো হয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে। যদিও সোনিয়ার বক্তব্যকে পুরোপুরি বিকৃত করেই বিজেপি এই অভিযোগ জানিয়েছে। নির্বাচনী সভায় সোনিয়া বলেছিলেন, কর্নাটকের মানুষ কারও কাছে মাথা নত করে না।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় মহামেডান, স্পনসর সঙ্কটেই নতুন তাঁবু উদ্বোধনের প্রস্তুতি