প্রতিবেদন : হাওয়া ঘুরে গিয়েছে। সেই হাওয়া আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আজ। প্রধানমন্ত্রীর কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মোদিবাবু বলেছেন, বাংলায় বিজেপি উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের থেকে বেশি আসনে জিতবে। তাহলে কি উত্তরপ্রদেশে ও বিহারে আপনি হারছেন? বুধবার ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মেটিয়াবুরুজের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সেই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে যদি হারেন, বাংলায় আপনি সব সিটে জিতলেও কি সরকার তৈরি করতে পারবেন? পারবেন না। মমতা বন্দ্য্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, মোদিবাবুদের কথাতেই স্পষ্ট বিজেপি এবার জিতছে না। একই আভাস মিলেছে মুম্বইয়ের শেয়ার বাজারে। সেখানে ইন্ডিয়াকে ৩৪৮ দিয়েছে। তাহলেই বুঝুন বিজেপি কত আসন পাবে। বিজেপি আর আসছে না। মোদিবাবুও আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। দেশ আর এমন অহঙ্কারী নেতা চায় না।। দেশের নেতা হওয়া দরকার গান্ধীজি-নেতাজির মতো। দেশের নেতা হবেন তিনি, যিনি সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলবেন। কিন্তু মোদিবাবু নেতা হয়েছেন টাকার জোরে। তাঁর কথায়, এমন মিথ্যাবাদী নেতা আমি দেখিনি। কাকদ্বীপে গিয়ে বলেছেন, বাঁধের টাকা দিয়েছেন। আগে বলেছিলেন, আবাসের টাকা দিয়েছেন। একটা টাকা দেননি, চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। রাস্তার টাকাও দেননি, একশো দিনের টাকাও দেননি। আমরা টাকা দিয়েছি গরিব শ্রমিকদের। আমরা কর্মশ্রীও চালু করেছি।
আরও পড়ুন-স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ ওড়াল পুলিশ
মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, আবার বলছেন বাংলায় কিছু কাজ হয়নি। লজ্জা বলে কিছু নেই! আপনারও নেই, আপনার পার্টিরও নেই। এমন মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা দেশ চালানো সম্ভব নয়। আজ দেশে সব বিক্রি করে দিয়েছেন। রেল, সেল, সংবিধান, মানবিকতা, সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দেশ বিক্রি করে দিয়েছেন আর ভেদাভেদ তৈরি করেছেন। শুধু ভোটের সময় আসেন, আর বসন্তের কোকিলের মতো উড়ে চলে যান।
তিনি বলেন, বিজেপির থেকে বড় চোর আর নেই। তাঁর প্রশ্ন, পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? নোটবন্দির কালো টাকা কোথায় গেল? এই যে কাশীপুর গানসেল ফ্যক্টরিতে এখন আর কাজ হয় না, সব চলে গিয়েছে বিদেশে। আবার বলছেন, বায়োলজিক্যাল বর্ন নই! উনি নাকি দেবতা। জগন্নাথদেবও ওনাকে গুরু মানেন। আসুন না মোদিবাবু, আপনার মন্দির তৈরি করে দিচ্ছি।
তিনি এদিন স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূল কংগ্রেস মরে গেলেও সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলায় কোনও অ্যাডজাস্ট করবে না। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি যতদিন বাংলার গাঁটবন্ধন থাকবে, ততদিন কোনও সম্পর্ক নেই সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে। আমি আজও একটা তথ্য দিচ্ছি, ক্রস চেক করে নিন। খবর পেয়েছি, দমদমে সিপিএম ঠিক করেছে তারা এমপি ভোটটা বিজেপিকে দেবে, আর বরানগরে উপনির্বাচনের ভোট বিজেপি সিপিএমকে দেবে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিএম। এরপরই তাঁর হুঙ্কার, ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে যদি উপড়ে ফেলতে পারি, তাহলে বিজেপিকেও উপড়ে ফেলতে পারব। আমরা দিল্লিতে ইন্ডিয়ার সঙ্গে আছি। ইন্ডিয়াতে বাংলাই লিড করবে। বাংলাই সমর্থন দেবে। বাংলার কাজ আমরা করে নেব। দেশবাসীর দুঃখ ঘোচাতে তাদের জন্য কাজ করে যাব আমরাই। এরপর এজেন্সি রাজ নিয়ে সরব হয়ে বলেন, কত গ্রেফতার করবে? আমাকে ও অভিষেককে গ্রেফতার করবে? কত কারাগার আছে, গ্রেফতার করো।