প্রতিবেদন : রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠনের পর এবার তাঁর লক্ষ্য শিল্প স্থাপন; কর্মসংস্থান। পানাগড়ে পলিফিল্ম তৈরির কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সামাজিক প্রকল্পের পর নতুন লক্ষ্য শিল্প । বাংলায় খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। পনেরশো একর জমির ওপর তৈরি হয় পানাগড় শিল্পতালুক । প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি কারখানা তৈরি হয়। সম্প্রতি তৈরি হচ্ছে একটি পলিফিল্ম কারখানা।” এদিন তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে একগুচ্ছ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
আরও পড়ুন : দুয়ারে সরকার, খুবই দরকার
মুখ্যমন্ত্রী জানান করোনাকালে, “দেশে যখন কর্মসংস্থান কমেছে, তখন রাজ্যে ৪০% কর্মসংস্থান বেড়েছে । আজকাল জ্বালানিতে মেশানো হচ্ছে ইথানল। ভাঙা চাল কিনে ইথানল তৈরিতে কাজে লাগানো হবে। এর জন্য ইথানল প্রোডাকশন প্রোমোশন পলিসি ঘোষণা করবে রাজ্য। এক বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের।”
মুখ্যমন্ত্রী আর যা বললেন,
• রাজ্যে ডেটা সেন্টার ইন্ডাস্ট্রি ঘোষণা করা হবে
• আগামী ৫ বছরে ৪০০ মেগাওয়াটের ডেটাসেন্টার তৈরি হবে।
• গত ৫ বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।
• অন্ডাল বিমানবন্দরকে আগামী দুবছরে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এর জন্য বাজেটে বরাদ্দ দেড়শো কোটি টাকা।
• রাজ্যে ৩০টি স্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ হয়েছে
•নবদ্বীপ এবং কোচবিহার- দুটি হেরিটেজ টাউন হচ্ছে
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সব সমস্যার দ্রুত সমস্যার জন্য হাই পাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মাসে অন্তত একবার বৈঠকে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।” পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পোদ্যোগীদের সমস্যাটা তিনি বোঝেন। বিনিয়োগ করতে গেলেও অনেক সময় ইডি-সিবিআই-এর মতো এজেন্সির দ্বারা তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তবে রাজ্য সবসময় তাঁদের পাশে আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাংলা সম্মেলন করার চেষ্টা হবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের পরবর্তী শিল্প লক্ষ্য দেউচা পাচামিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি। প্রথম পর্যায়ের জমি সরকারের হাতে আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করা হবে। ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে সেখানে। কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক । পাশাপাশি, শীঘ্রই তাজপুর বন্দর চালু হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে।