কথা দিলে কথা রাখেন, পহেলগাঁও হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর বাবা-মায়ের পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে বেহালার বড়িশা ক্লাবে যান মুখ্যমন্ত্রী।

Must read

প্রতিপদের শুভ লগ্নে আজ, সোমবার বড়িশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একইমঞ্চে দেখা গেল পহেলগাঁও হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর বাবা-মাকে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধ এই দম্পতি। এরপরেই তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাহস জুগিয়ে বললেন, “এখন কাঁদলে হবে না। শরীর খারাপ হবে। একটা ছেলে গিয়েছে ঠিকই। বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের রক্তের সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। কিন্তু এত ছেলে রয়েছে আপনাদের।”

আরও পড়ুন-”কলকাতা পুলিশের এসটিএফ, ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট তৎপর”, গাইডম্যাপ ও অ্যাপ উদ্বোধন করে আশ্বাস নগরপালের

তিনি বলেন, ”উৎসবের দিনেও তাঁরা আমার পাশে আছেন। আমার সাথে সবসময় ওনাদের যোগাযোগ থাকে। যেকোন প্রয়োজনে বাড়ির লোক হিসেবে আমরা চেষ্টা করি ওনাদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সেদিন লক্ষ্য রাখার।”

এরপরেই পহেলগাঁও ইস্যুর পর বিরোধীদের আচরণ নিয়ে মঞ্চ থেকে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “কেউ কেউ ঘটনার পর যোগাযোগ করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু কই তাঁদের তো আর দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই আছেন যারা প্রথম দিন এল, ছবি তুলল কিন্তু তাদের আর দেখা গেল না। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর কাণ্ডের এতবছর পরও শহিদদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। ৯৩ সালের ঘটনা, এতবছর পরও একুশে জুলাই শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। আমরা পরিবারগুলোকে মনে রাখি।”

আরও পড়ুন-”জিএসটি কমানোতে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই, সব কৃতিত্ব রাজ্যের” স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে বেহালার বড়িশা ক্লাবে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। এছাড়া পাশে ছিলেন পহেলগাঁও কাণ্ডে নিহত বিতান অধিকারীর বাবা-মা। মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দলের স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেন, সবসময় দম্পতির খোঁজ রাখার এবং তাঁদের পাশে থাকার।

এদিন বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষ নিয়েও সরব হন তিনি। বলেন, যারা বাংলাকে কলুষিত করতে চায়, তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হবে। বাংলার মানুষ ভাষার অস্মিতা রক্ষা করবে। বাংলার দুয়ার সর্ব ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার মানুষের জন্য খোলা। বিজেপির রাজনীতি কেবলই বিভাজন আর মিথ্যাচারের ওপর দাঁড়িয়ে। বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ঐক্য আর বাংলার মানুষের শক্তি বারবার তার জবাব দিয়েছে। এই মাটির প্রাণশক্তির সামনে বিজেপির মিথ্যাচার কোনওদিনই টিকবে না। বিশ্বজনীন ভারত। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই আমাদের মন্ত্র। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, সকলেই মা দুর্গার নামে একত্রিত হন। এটাই আমাদের বড় শক্তি। আমি সকল ভাষাকে ভালবাসি এবং সম্মান করি। কিন্তু আমাদের মাতৃভাষা আমাদের নিজস্ব। কেউ তা অসম্মান করতে পারে না। যখন আমরা ‘জয় হিন্দ’ বা ‘বন্দে মাতরম’ বলি, তখন আমরা ‘জয় বাংলা’ও বলি।

Latest article