বুধবার, ভাষাসন্ত্রাসের প্রতিবাদে মিছিলের শেষে ঝাড়গ্রামের সভা থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, এসআইআরের আড়ালে বাংলায় এনআরসি চালু করার চক্রান্ত চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে বাংলার দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা নোটিশ দেওয়ারও বিরোধিতা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আরও পড়ুন-বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে মিছিল শেষে বাজল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান
ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তি অনিয়মের অভিযোগে বাংলার চার অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। তালিকায় ২ ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) এবং ২ এইআরও (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)। ওই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। এই বিষয় নিয়ে এদিনের সভা থেকে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি। কমিশনের অধীনে রাজ্য প্রশাসন নয়। তাহলে, কোন অধিকারে রাজ্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল? প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করেন মমতা।
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই দেশজুড়ে বিমানবন্দরগুলিতে হাই অ্যালার্ট
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে জিততে চাইছে গেরুয়া শিবির। এসআইআরের নামে বাংলার ভোটারদের নাম কাটার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে মমতা সাফ জানিয়ে দেন, কারও নাম কাটা যাবে না। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কর্মী, অফিসার, পুলিশকে কমিশনের মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি সরকার। তীব্র হুঙ্কার দিয়ে মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দালালি করছে। বিজেপির ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দালালি করছে নির্বাচন কমিশন।
অভয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারি অফিসারদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। আমরা আমাদের কর্মী-অফিসারদের রক্ষা করব। কাউকে সাসপেন্ড করব না।”