একটু দেরি হলেও আজ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষণ শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শুরুতেই পাঁচ শিক্ষিকার ‘বিষ’ পানের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘শিক্ষক দিবসের আগে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রণাম জানাচ্ছি।’
আজকের এই বিশেষ দিন উপলক্ষে তিনি বলেন, ‘আজ যাঁদের বয়স ১৮, তাঁরাই ভবিষ্যতের ভবিষ্যৎ। আমি দেখছি আমাদের পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তেমন রাজনীতিতে এগিয়ে আসছেন না। এখনও লড়াই করছি আমরা। আমরা তো সরকারে আছি। লড়াই নাও করতে পারিনি। ভোগ করতে পারি। কিন্তু ক্ষমতায় এসে আমাদের লড়াই আরও বেড়েছে।’
এদিন মঞ্চ থেকে মানবাধিকার কমিশনকে টার্গেট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘নরেন্দ্র মোদী সরকার সর্বদা রাজনীতিত করছে। কেউ মুখ খুললেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষ সরকার অনেক কিছু করেছে। টিউশনি করে সংসার চালাতাম। কিছুই ছিল না তখন। নিজে বেদনা পাওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ গুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ত্রিপুরায় শিক্ষকদের ছাঁটাই, আর বাংলায় শিক্ষকদের জন্য চাটাই। সরকারের কর্মীরা ঠিকভাবে বেতন পান না। অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ – কোথাও না। আমাদের আমলে বাংলায় ১.৩ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৩০,০০০ শিক্ষিক নিয়োগ করা হচ্ছে। ডেউচা পাচামি গড়ে উঠছে। সেখান থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। বাংলায় শুধু শিল্প আর শিল্প হবে।’
কন্যাশ্রী প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ মেয়েরা আর বাবা-মায়ের ঘাড়ের বোঝা নয়, আজ আমরা কন্যাশ্রীরা গর্ব হয়ে উঠেছেন।’
এদিন বিজেপি সরকারের কাজের নিদর্শন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি দানবীয় সরকার। বেচে দেওয়ার সরকার। যা পারছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া, এলআইসি, রেল, সেল সব বেচে দিতে হবে। কোল ইন্ডিয়া বেচে দেবে। জনগণকে কবে বললেন, চোখ, কান, নাক বিক্রি করে দাও। প্ল্যাকার্ডে লিখে-লিখে মিছিল করবেন। স্টেশন বিজেপির নয়, স্টেশনটা ভারতের।’