প্রতিবেদন : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে লন্ডন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বক্তৃতা করবেন। সঙ্গে যাবেন রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিরাও। আগামী ২১ মার্চ রাতে রওনা দেবেন তিনি। অক্সফোর্ডে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি সে-দেশের শিল্পমহলের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে। চলতি বছরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের বিরাট সাফল্যের পর নিশ্চিতভাবে বাংলার বিনিয়োগ মানচিত্রে এই বৈঠক নতুন মাত্রা যোগ করবে। অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতায় উঠে আসবে তাঁর আমলে বাংলার সাফল্য ও জয়গাথা। কীভাবে একটা বন্ধ্যা রাজ্যকে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিল-তিল করে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে অক্লান্ত পরিশ্রম তাঁর সরকার করে চলেছে তারও উল্লেখ থাকবে বক্তৃতায়। তার সঙ্গে এ-রাজ্যের প্রথম সারির যেসব শিল্পপতি যাবেন তাঁরাও সে-দেশের শিল্পমহলকে ব্যাখ্যা করবেন কেন বাংলায় বিনিয়োগ করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। এককথায় ডেস্টিনেশন বেঙ্গল। বাংলা মানেই এখন বাণিজ্য। এর আগে লগ্নি খুঁজতে বিদেশ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ গিয়েছিলেন স্পেন সফরে। সেখানেও একাধিক বাণিজ্য বৈঠক-সহ বাংলার ফুটবলের জন্যও আলোচনা সেরে এসেছেন। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। তার আগে গিয়েছিলেন ইতালি সফরে। মাঝে আরও কয়েকটি দেশ থেকে আমন্ত্রণ এলেও কেন্দ্রীয় সরকারের কারণে তাঁর যাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন-যাদবপুরের উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে ব্রাত্য
আসন্ন লন্ডন সফরে অক্সফোর্ডে বক্তৃতা, বাণিজ্য বৈঠক ছাড়াও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও হবে। লন্ডনের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বহুকালের। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে লন্ডন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যে-দেশেই যান, সেখানকার শিল্প-বাণিজ্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১-র পর থেকেই রাজ্যের হাল ফেরানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে বামেদের ৩৪ বছরের শাসনকালে যেভাবে শিল্পবিমুখতা তৈরি হয়েছিল, সেই বন্ধ্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে রাজ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটিয়ে শিল্পের আবাহনকে সুনিশ্চিত করতে কম পরিশ্রম করতে হয়নি তাঁকে। বাংলার ইমেজ পাল্টাতে খোলনলচে বদলাতে হয়েছে, প্রশাসনকে চাঙ্গা করতে হয়েছে, লাল ফিতের ফাঁসে যাতে শিল্প প্রস্তাব হারিয়ে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করতে হয়েছে আধিকারিকদের। সর্বোপরি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন এখন শুধু ভারতবর্ষ নয়, গোটা বিশ্ব জুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। তাই আসন্ন লন্ডন সফরেও মুখ্যমন্ত্রী সচেষ্ট থাকবেন বাংলায় বাণিজ্যের পথ সুগম করতে।