সংবাদদাতা, বারাসত: সোমবার বারাসতের বিজয়া সম্মিলনীতে কর্মীদের ঢল। এদিন স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পালিত হল বিজয়া সম্মিলনী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ তথা জেলা সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakoli Ghosh dastidar), খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার, বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস মিত্র, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মিনু চক্রবর্তী, টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, ছাত্রনেতা লিঙ্কন মল্লিক-সহ অন্যরা। ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakoli Ghosh dastidar) বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে কর্মীদের উপস্থিত সর্বাধিক। তার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাও বেশি। মহিলাদের এই উপস্থিত সাংগঠনিক শক্তি আরও বাড়াবে। বিজেপি ভেদাভেদের রাজনীতি করছে। ওরা ঘরে ঘরে ঢুকে ভাঙন ধরাতে চাইছে। এসআইআরের নামে বাঙালিদের অধিকার কাড়তে চাইছে। ভোটার লিস্ট ঠিক করে দেখার জন্য ভাইফোঁটার পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমি লিখে দিতে পারি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে। নারায়ণ গোস্বামী বলেন, নবীনরা দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁদের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীতে কর্মীদের যা উপস্থিতি তা আগে কখনও দেখা যায়নি। মনে রাখতে হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী করার নির্বাচন। তাই আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এসআইআর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে কেন এসআইআর, এটা ২০১২, ২০২২ সালে হওয়ার কথা ছিল। কেন এখন করা হচ্ছে তার কোনও উত্তর নেই। ২০০৯ সালে বারাসত বিধানসভা পুনর্গঠন হয়। ফলে ২০০২ সালের ভোটার লিষ্ট ধরে ২০২৫ সালের ভোটার লিষ্ট মিলিয়ে দেখে একটা ম্যাপিং করতে হবে। আগে থেকে সবাইকে এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ারও আবেদন জানান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে রো-কো? নিশ্চিত নন শাস্ত্রী