মা-মাটি-মানুষের জন্য প্রার্থনা, পূর্ণাহুতি দিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে দিঘায় বাঁধানো হয়েছে সমুদ্রের পার। চওড়া এবং পাকা হয়েছে অনেক রাস্তাঘাট। চন্দননগরের আলো বসেছে প্রবেশের গেটে।

Must read

আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই দিঘার জগন্নাথধামের উদ্বোধন। দিঘায় জগন্নাথদেবের (Digha Jagannath temple) প্রাণপ্রতিষ্ঠায় আজ দিনভর চলে আচার–অনুষ্ঠান। শাস্ত্রীয় মতে শুরু হয় পুজো এবং হোমযজ্ঞ। জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ করতে তৈরি হয় অস্থায়ী আটচালা ঘর। আজ, মঙ্গলবার থেকে সেখানে দু’বেলা পুজো এবং হোমযজ্ঞ চলছে। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইসকন থেকে ১৭ জন সাধু মহাযজ্ঞে সামিল হন‌। এখানেই পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতে করলেন আরতি। এরপরেই জগন্নাথ মন্দিরে উড়ল ধ্বজা। আজ বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় পূর্ণাহুতির কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত রাজেশ দ্বৈতাপতি এবং ইসকনের কর্মকর্তা রাধারমণ দাস।

আরও পড়ুন-সাইকেলে চেপে দিঘায় জগন্নাথধাম দেখতে এলেন কর্ণাটকের নাগরাজ, বার্তা দিলেন শান্তির

জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে দিঘায় বাঁধানো হয়েছে সমুদ্রের পার। চওড়া এবং পাকা হয়েছে অনেক রাস্তাঘাট। চন্দননগরের আলো বসেছে প্রবেশের গেটে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। আগামীকাল, বুধবার মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হতে চলেছে। বিকেলে পূর্ণাহুতির পরে পুরোহিতদের হাতে সরবতের গ্লাস তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের শীর্ষে ধ্বজা উত্তোলনের আগে মন্দির প্রাঙ্গণে মঙ্গলপুজোয় যোগ দেন তিনি। এখানে একটি তুলসীগাছ বসবে। ৩০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন এবং জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। পুরীর রাজেশ দ্বৈতাপতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিধান অনুযায়ী সেটা করবেন। আজ পুরীর মতো এখানে সুদর্শন দেব, দেবী লক্ষ্মী, বিমলা ও সত্যভামাকে অধিষ্ঠিত করা হবে। রাধারমণ দাস এই মর্মে জানান, মূল যজ্ঞের পর সন্ধ্যায় ফুলে সাজানো বিছানায় জগন্নাথ দেবকে শয়ন দেওয়া হবে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন প্রথমে ভগবানকে সোনা, রুপো এবং তামার তার দিয়ে বেঁধে সেই তারকে প্রধান পুরোহিতের কোমড়ে বাঁধা হবে। তারপর ঘট স্থাপন, কুণ্ড ও অবশেষে প্রতিবিম্ব।

আরও পড়ুন-পহেলগাঁও হামলায় জড়িত হাসিম মুসা! পাকিস্তান-যোগের অকাট্য প্রমাণ সামনে আসছে

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ”ধর্ম তো কখনও মুখে প্রচার করে হয় না, হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। তাই আমি নিজের গোত্রে পুজো করি না, মা-মাটি-মানুষের গোত্রে পুজো করি। মা-মাটি-মানুষ ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকব।” প্রসঙ্গত, রাজেশ দ্বৈতাপতি ছাড়াও পুজোর আচার অনুষ্ঠানের জন্য পুরী থেকে দিঘায় এসেছেন আরও ৫৭ জন সেবক। মন্দিরে জগন্নাথের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে মোট এক কোটিবার নরসিংহ মন্ত্রোচ্চারণ করছেন সেবকরা। মঙ্গলবারের হোমযজ্ঞের জন্য এসেছে ১০০ কুইন্টাল আম, বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি।

Latest article