প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, বন্ধ করা হল মাইক্রোফোন, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ

বিমায় জিএসটি প্রত্যাহার করুন অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। আর আজ শুক্রবার নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়ে মেডিক্যাল ইনসিওরেন্স এবং লাইফ ইনসিওরেন্সের উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ইনকাম ট্যাক্সের ৮০সি এবং ৮০ডি ধারায় কর ছাড়ের দাবিও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, স্বাস্থ্য বিমা এবং জীবন বিমার প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হল মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষা এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সুনিশ্চিত করা অথবা কেউ আচমকা, দুর্ঘটনায় কিংবা আচম্বিতে মারা গেলে তাঁর পরিবার যাতে দুর্বিপাকে না পড়ে তা সুনিশ্চিত করাই এই ধরনের বিমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এক্ষেত্রে জীবন বিমা পলিসি এবং চিকিৎসাবিমা পলিসি আমজনতার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক সংকটে পড়া থেকে একটি পরিবারকে রক্ষা করে, ফলে এই ধরনের জিএসটি কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়। এদিন সংসদেও জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে ঝড় তুলে দেন তৃণমূল সাংসদেরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যদিও, তৃণমূল সাংসদরা বলার সময় তাঁদের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য দমে না গিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। ওয়াক আউটও করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লাইফ ইনসিওরেন্স স্কিম আর ওষুধের ওপর যে ১৮% জিএসটি বসানো হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করতে হবে।। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টিকে সবার সামনে তুলে এনেছেন। আমরা বলেছি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে আসতে হবে। মাইক বন্ধ করে দিল মাঝপথে। ওয়েলে নেমে আমাদের প্রতিবাদ করতে হল। লাইফ ইনসিওরেন্সের প্রিমিয়াম আর ওষুধের উপর জিএসটি প্রত্যাহার করার বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে নয়তো যতদূর যাওয়ার আমরা যাব।

আরও পড়ুন- শনিবার থেকেই পরিস্থিতির উন্নতি, রাজ্যে কমবে বৃষ্টি

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, চিকিৎসা বিমা এবং জীবন বিমার উপর জিএসটি আমজনতার জীবনে বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। ফলে বহু মানুষ এই ধরনের বিমা করাতে পারছেন না পিছিয়ে আসছেন অর্থনৈতিক কারণে। একই সঙ্গে যাঁদের বিমা রয়েছে তাঁদেরও সেটা চালিয়ে নিয়ে যেতে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কোনও জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে এই ধরনের বিমা মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা দেয় একই সঙ্গে সরকারের উপর নির্ভরতাও কমে, তাতে সরকারেরও বোঝা কমে।
আমরা সকলেই জানি স্বাস্থ্যই সম্পদ এবং স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টিকে আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখতে হয়, সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন চিকিৎসা বিমা এবং জীবন বিমা সমাজের সর্বস্তরের মানুষই ব্যবহার করেন। সেখানে চাষী থেকে দিনমজুর সকলেই রয়েছেন। ফলে এই ধরনের জিএসটি চাপিয়ে সাধারণ মানুষকে বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ এবং দুশ্চিন্তায় ফেলা উচিত নয়। আশা করি আমজনতার কষ্টের কথা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই জিএসটি প্রত্যাহার করবেন। মানুষকে সুস্থভাবে ও নিশ্চিন্তে বাঁচার সুযোগ করে দেবেন।

Latest article