জল্পেশ যাওয়ার পথে গাড়িতে শর্টসার্কিটে মৃত্যু হয়েছে ১০ পুণ্যার্থীর। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ১৬ জন। রবিবার মধ্যরাতে এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পৌঁছান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। হাসাপাতালের বেডে থাকা প্রত্যেক আহতদের কাছে গিয়ে তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
আরও পড়ুন-নদীতে ভেসে যাচ্ছে হস্তিশাবক, বাঁচালেন গ্রামবাসীরা
পাশাপাশি আহতদের পরিবারের লোকজনকে আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এদিনই তিনি কোচবিহারের যাওয়ার জন্য রওনা হন। মঙ্গলবার মন্ত্রী শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। হাতে তুলে দেবেন আর্থিক সাহায্য। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকদের। মেখলিগঞ্জে যান পুলিশের ডিআইজি সি সুধাকর। ডিআইজি মেখলিগঞ্জ থানায় বৈঠকে বসেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-বদলি-নীতিতে বদল আনল হাইকোর্ট
এই মর্মে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন,’ ,শীতলকুচি কোচবিহারের ১০ জন তীর্থযাত্রীর আত্মীয়দের প্রতি আমার সমবেদনা ও সংহতি, যারা আজ জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। একজন মন্ত্রিপরিষদ সহকর্মী ঘটনাস্থলে যান। তিনি সেখানে উদ্ধার, সাহায্য, চিকিৎসার জন্য সমগ্র প্রশাসনকে একত্রিত করেন এবং আপত্তিকর গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’