সামনে SIR-আড়ালে NRC! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বৃহস্পতিবার, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি থেকে নির্বাচন কমিশন- ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

Must read

বৃহস্পতিবার, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি থেকে নির্বাচন কমিশন- ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিস্ফোরক অভিযোগ করে মমতা বলেন, SIR সামনে রেখে রাজ্যে NRC চালুর চক্রান্ত করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তীব্র নিশানা করে মমতা বলেন, মোদি সরকারের কাজ শুধু নির্বাচন করা। কমিশনকে বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ করেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

আরও পড়ুন-সন্ত্রাসের মাঝে শিল্পের জয়! সাহিত্যে নোবেলজয়ী লাসলো ক্রাসনাহোরকাই

২ নভেম্বর থেকেই রাজ্যে (West Bengal) শুরু হতে পারে SIR। বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার BLO ও ERO-AERO দের সঙ্গে বৈঠকে এই ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারপরই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের নামে বিএলওদের ডেকে হুমকি দিচ্ছে কমিশন। তাই রাজ্যকে বাদ দিয়ে কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-এয়ারফোর্স দিবসে পাকিস্তানকে ‘রোস্ট’ ভারতের

অসম থেকে বাংলার বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর পরপর নদিয়ার দুই নাগরিক এনআরসি নোটিশ পেয়েছেন। সেই কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ”এসআইআরের নামে কেন এনআরসি নোটিশ পাঠাল? কোন অধিকারে বাংলার মানুষকে অসম সরকার এই নোটিশ পাঠাচ্ছে? সামনে এসআইআর আর পিছনে কী? এনআরসি করবেন গায়ের জোরে? পারবেন না কোনওদিন। এসআইআরের নামে ভোট কাটার ষড়যন্ত্র। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আসলে রাজ্যে SIR-এর নামে NRC চালুর চক্রান্ত করছে মোদি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “এখনও তো ভোট ঘোষণা হয়নি, তাহলে কীসের ভিত্তিতে এভাবে জেলায় জেলায় বৈঠক করছে কমিশন?” এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এসআইআরের নাম করে এনআরসি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে!” গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “এসআইআর শুরুর আগে বিজেপির একজন মন্ত্রী কী করে বলে, দেড় কোটি নাম বাদ দেওয়া হবে। কমিশনের কাছে আমরা নিরপেক্ষতা আশা করি। সরকার, বিরোধী মিলেই গণতন্ত্র। সংবিধানে সাধারণ মানুষের অধিকার রয়েছে, সেটা খর্ব করা বরদাস্ত করব না। এসআইআরের নামে তাড়াহুড়ো করে কারও নাম কাটা হলে, সে রাজবংশী হোক, মতুয়া হোক, একজন ভোটারের নাম বাদ গেলে পাল্টা অ্যাকশন হবে। মনে রাখবেন, বাংলায় প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ লড়াকু। তাঁরা লড়াই করে ঠিক নিজেদের অধিকার বুঝে নেবে। আপনারা তাঁদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না।”

বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মীরজাফর বলে কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “আমি নিজে শুনেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে একটা মিটিংয়ে ইন্সট্রাকশন দিয়ে গেছেন অনেক নাম বাদ দেব। নাম বাদ দেওয়ার ওরা কে?”

এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বলেন, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়! রাজ্যের সিইওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে, সময় হলে বলব, তিনি নিজে নানা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত।”

Latest article