রাস্তার ভার পঞ্চায়েত সমিতি-জেলা পরিষদকে দিলেন মমতা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ

বুধবার, দুই বর্ধমানের (Bardhawan) প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

Must read

পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার, দুই বর্ধমানের (Bardhawan) প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, ‘বাংলার বাড়ি’, কোনও প্রকল্পেরই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে নিজেদের দায়িত্বে রাস্তার কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দরকারে বিধায়ক-সহ জন প্রতিনিধিরা রাস্তা তৈরিতে নিজেরাই মাথায় ইট বইবেন- বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর। “আমিও নিজে ইট বইয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছিলাম”- পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হলে আর রাস্তা তৈরি করা যাবে না। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।

আরও পড়ুন-কেন্দ্র প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না বাংলাকে, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বন্ধ নাম নথিভুক্তের কাজ

এদিনের বৈঠকে ছিলেন ডিএম (DM), এসপি (SP), বিডিও (BDO), সাংসদ, বিধায়করা। সারা রাজ্যের সব জেলার ডিএম এসপি-সহ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘন সিনহা। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক কাজের দক্ষতায় মুগ্ধ তিনি।

আরও পড়ুন-‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে দিল্লিতে দরবার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমানের প্রসাশনিক বৈঠকে আর কী বললেন

১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া নিয়ে এদিন ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। যেখানে ১৫ দিনের মধ্যেই টাকা দেওয়ার কথা। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন, পিডব্লিউডি, জলধরো জলভরো-সহ যে সকল প্রকল্পের কাজে বাইরের লোক ব্যবহার করা হয়, সেখানে আপাতত জব কার্ড যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নেওয়া হোক।

রাস্তা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র রাস্তা তৈরি টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। তিনি নির্দেশ দেন জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি যে অর্থ পায়, সেই অর্থ গ্রামীণ রাস্তা তৈরিতে কাজে লাগাতে বলে মমতা।

আরও পড়ুন-উদয়পুরে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

দুই বর্ধমানেই বালি খাদান রয়েছে। এক্ষেত্রে ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানান, ই-টেন্ডার হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এই বৈঠক থেকে ১৯০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত বিদ্যাধরী সেতু উদ্বোধন করেন মমতা।

Latest article