মমতা-মডেল অস্ত্র হোক বিজেপি-বধে

সাংসদ বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস পিছিয়ে পড়ছে, অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও পিছিয়ে পড়ছে।

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বারবার প্রমাণিত, বাকিরা ব্যর্থ। তাই ইগো ছাড়ুন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে লড়াই করুন। তাহলেই বিজেপি কুপোকাত হবে আর নিশ্চিত হার হবে নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানির। বাংলার উপনির্বাচনে ছয়ে ছক্কার পর রবিবার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ইন্ডিয়া জোটের উদ্দেশে সওয়াল করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনের সারিতে রেখে লড়াই করলে দিল্লির রাজনীতিতে মোদির পতন অবশ্যম্ভাবী।
সাংসদ বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস পিছিয়ে পড়ছে, অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও পিছিয়ে পড়ছে। তাই কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির উচিত ইগো ছেড়ে দিয়ে ইডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধান বিরোধী মুখ করে লড়াই করা। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে বিরোধীরা ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিরোধী শিবিরের মেনে নেওয়া উচিত যে, সারা দেশের মানুষ প্রধান বিরোধী নেত্রী বা লড়াকু নেত্রী মনে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে প্রধান মুখ করে দেশে রাজনৈতিক লড়াই করলে দেশ থেকে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে হারানো যাবে। মনে রাখবেন এটা ইগোর লড়াইয়ের সময় নয়। সমস্ত ইগো ছেড়ে দিয়ে দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের উচিত এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধান বিরোধী মুখ করে নির্বাচনী লড়াই করা।

আরও পড়ুন-জয় ও জবাবে উত্তাল বাংলা

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল প্রসঙ্গে তৃণমূল সাফ জানিয়েছে, এই স্পিরিটকে আমরা সকলে সমর্থন করি। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে বারবার রুখে দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও হেমন্ত সোরেন বিজেপিকে রুখে দিল। তাহলে হরিয়ানায়, মহারাষ্টে কেন কংগ্রেস পারল না? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কংগ্রেস কেন বারবার ফেল করছে? আমরা দোষারোপ করছি না। যদি আত্মসমালোচনা করা না হয়, তাহলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোট আরও শক্তিশালী হবে কী করে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ সালে বিজেপিকে হারিয়েছেন, ২৩-এর পঞ্চায়েতেও হারিয়েছেন। ২৪-এও বিজেপিকে কমিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পকে নকল করে বিজেপি জিতছে, অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতাকেই বিকল্প শক্তির মূল আধার করতে পারছে না কেন কংগ্রেস বা অন্য বিরোধীরা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কথাই বলেছেন।

আরও পড়ুন-ছুটির দুপুরে ভৈরব বিসর্জনের শোভাযাত্রায় উচ্ছ্বাসের চেনা ছবি

বাংলার উপনির্বাচনে তৃণমূলের ছয়ে ছক্কা নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা কুৎসা করেছিল তাদের মাটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু নেই। বিরোধী দল বলে কিছু নেই। বাংলায় মানুষের ভরসা, বিশ্বাস, আস্থা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃণমূল ছয়ে ছয়। আগামী দিনে দেখা যাবে বাংলায় বিরোধী দলনেতা হবে না। বাংলায় তিরিশটা আসনও পাবে না বিরোধীরা। এদিন শ্রীরামপুর আরএমএস ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত শাখা সংগঠনের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যয় ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বেচারাম মান্না, বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায় প্রমুখ।

Latest article