মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে অভিযুক্ত মীর সামসুদ্দিন আলি নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুদিন পরই সেই যুবতীর পেটে তীব্র ব্যথা হতে থাকে।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : ধর্ষণের অপরাধে আবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিল আদালত। আর সেই সঙ্গে কৃতিত্ব প্রাপ্য বর্ধমান জেলা পুলিশেরও। তাঁদেরই তৎপরতায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় আদালত। এছাড়াও দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন-মিথ্যে নথিতে বাংলার বাড়ি-র প্রাপকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা

পাশাপাশি ধর্ষিতা যুবতীকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আউশগ্রাম থানা এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে অভিযুক্ত মীর সামসুদ্দিন আলি নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুদিন পরই সেই যুবতীর পেটে তীব্র ব্যথা হতে থাকে। সেই ব্যথার কারণে বাড়ির লোকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, ওই যুবতী দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই ২০২০ সালের ১৩ জুন যুবতীর পরিবার মীর সামসুদ্দিন আলি-র নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে আউশগ্রাম থানায়। অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। তারা সামসুদ্দিনকে গ্রেফতার করে তদন্ত চালাতে থাকে। আউশগ্রাম থানার পুলিশের দায়ের করা ধর্ষণের মামলা শুরু হয়। এদিন সেই মামলারই শাস্তি ঘোষণা করল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।

Latest article