প্রতিবেদন : নতুন রেশন কার্ডের আবেদন জানানোর সময় আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে রাজ্যে। তবে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে শুধু জন্মের শংসাপত্র দিলেই চলবে। কিন্তু ৫ বছরের ঊর্ধ্বে কারও জন্য নয়া রেশন কার্ডের আবেদন করলে সেখানে আধার কার্ডের নম্বর এবং প্রতিলিপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এখন পরিবারের যেকোনও একজনের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা থাকলেই রেশনের দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। কিন্তু তাতেও অনিয়মের অভিযোগ পুরোপুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। সেকারণে সমস্ত রেশন কার্ডের সঙ্গেই এবার আধার লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মাতৃ আগমন
রাজ্যে বর্তমানে ৯৮.৪৯ শতাংশ রেশন গ্রাহকের আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ শেষ হয়েছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে একই আধার নম্বরের সঙ্গে একাধিক রেশন কার্ডের যোগ থাকার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের কার্ড দ্রুত চিহ্নিত করে তা ব্লক করে দেওয়ার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে রেশন গ্রাহকদের অনলাইনে যাচাই করার প্রক্রিয়া বা ই-কেওয়াইসি এখনও বাকি আছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮০ শতাংশের কিছু কম গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যাদের এই প্রক্রিয়া হয়নি, তাঁরা এখনও খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন। কারণ পরিবারের একজন সদস্যের কেওয়াইসি করা থাকলে তিনি রেশন দোকানে গিয়ে বা দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইনেই তাঁর আধার নম্বর যাচাই করে পরিবারের সবার হয়ে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করে সব গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, যে গ্রাহকরা এখনও ই-কেওয়াইসি করেননি, পুজোর শেষে তাঁদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে করে নিতে বলা হবে। এটা না করলে রেশন কার্ড ‘নিষ্ক্রিয়’ করে দেওয়া হবে বলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে। রেশন গ্রাহকরা যাতে সহজে ই-কেওয়াইসি করাতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করেছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। নিজের এলাকার রেশন ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁর ই-পজ যন্ত্রের মাধ্যমে এই কাজ করা যায়। কিংবা খাদ্য দফতরের স্থানীয় অফিস বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়েও এই কাজ করা যায়। আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকলে বাড়িতে বসে খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে এই কাজ করতে পারবেন গ্রাহকরা। রেশন কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি মুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই খাদ্য দফতরের এই পদক্ষেপ।