মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশের কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টে

মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মণিপুর হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট

Must read

নয়াদিল্লি : মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মণিপুর হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। মণিপুর হাইকোর্টের ওই রায়ের পরেই রাজ্যের একাধিক জেলায় উপজাতি এবং অনুপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল। বুধবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, পি এস নরসিমা এবং জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চ বলেছে, মণিপুর হাইকোর্টের রায়টি বাস্তবিক ভুল ছিল। বিভিন্ন সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের নীতির বিরোধী।

আরও পড়ুন-রেকর্ড, ৮ হাজারী মাকালু শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি

আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেজ এদিন শীর্ষ আদালতকে বলেন, মণিপুর হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। অন্যদিকে মণিপুর সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, বিচারপতি এম ভি মুরলীধরনের রায়ের বিরুদ্ধে অল মণিপুর আদিবাসী ইউনিয়ন একটি রিট আপিল দায়ের করেছে।

আরও পড়ুন-‘সবচেয়ে বড় কয়লা চোর এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক’ পাণ্ডবেশ্বরে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রধান বিচারপতি এদিন বলেছেন, মণিপুর হাইকোর্টের আদেশ আমাদের স্থগিত রাখতে হবে। কারণ এটি বাস্তবিকভাবে সম্পূর্ণ ভুল। আমরা বিচারপতি মুরলীধরনকে তাঁর ত্রুটি সংশোধনের জন্য সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা করেননি। তাই এর বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থান নিতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা যদি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় না মানেন তাহলে আমাদের কী করা উচিত সেটা স্পষ্ট জানা আছে। তবে হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনা করলেও সর্বোচ্চ আদালত এদিন ওই রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, একক বিচারপতির রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের সামনেই বিক্ষুব্ধরা তাঁদের বক্তব্য রাখতে পারবেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে মণিপুর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ভি মুরলীরন মণিপুর সরকারকে মেইতেই সম্প্রদায়কে চার সপ্তাহের মধ্যে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের পরেই উপজাতি এবং ও অনুপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এর ফলে বহু প্রাণহানি ঘটে। পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

Latest article