সুদেষ্ণা ঘোষাল দিল্লি: সংসদের অধিবেশনের আগে অগ্নিগর্ভ মণিপুর বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে৷ গত দেড় বছর ধরে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত দশদিনে নতুন করে ফের জাতিগত হিংসা শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। জাতিদাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ৷ গত কয়েকদিনে সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা কুড়ি হলেও বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে আগেই৷ এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে তোপ দাগতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি তোলার পাশাপাশি মণিপুর ইস্যুতে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছে বিরোধী শিবির৷
আরও পড়ুন-দিল্লির দূষণ: সরকারি কর্মীদের এবার ৫০% ওয়ার্ক ফ্রম হোম
মণিপুর ইস্যুতে চাপে রয়েছে বিজেপি তথা সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব। মণিপুরের পরিস্থিতি কেন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হচ্ছে না, কেন বারবার জাতিদাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছে, তা দেখার জন্য গত দেড় বছরে একবারের জন্যও মণিপুরে পা দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ শুধু তাই নয়, মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের তোপের মুখে তিনি সর্বদাই নীরব থেকেছেন৷ এই আবহে বিরোধীদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে সংসদীয় কক্ষে দাঁড়িয়ে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি বিবৃতি দেন, তাহলে তা আখেরে বিজেপির নৈতিক পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হবে বুঝেই চাপ বাড়ছে বিজেপির শীর্ষ স্তরের৷ অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে যদি অনড় হয় বিরোধী শিবির, তাহলে তাদের সম্মিলিত প্রতিবাদে উত্তাল হতে পারে সংসদীয় অধিবেশন৷
আরও পড়ুন-চায়ের দোকানে বইবাগান, বর্তমান প্রজন্মকে টানতে সুদীপের অভিনব উদ্যোগ
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এবারের শীতকালীন অধিবেশন৷ তার আগে মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির গভীরতা অনুধাবন করেই চাপ বাড়ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে, যেখানে মণিপুরের আগুন ক্রমেই তাদের গলার কাঁটা হয়ে উঠছে, এমনই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷