প্রতিবেদন: এ শুধু মানবতার লজ্জা নয়, গণতন্ত্রেরও লজ্জা। লজ্জা নেই শুধু ডবল ইঞ্জিন সরকারের। আর এই কারণেই কিছুতেই নিভছে না মণিপুরের অশান্তির আগুন। শুধু অশান্তি বললে কম বলা হবে, পাহাড়ি এই রাজ্যের মানবিক অধিকারও আজ এক গুরুতর প্রশ্নচিহ্নের মুখে। মাথার মাঝখানে গুলি করা হয়েছে দু’বছরের শিশুর। উপড়ে দেওয়া হয়েছে ডানচোখ। আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট বুক এবং হাতে। এখানেই শেষ নয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত গোটা শরীরজুড়ে। দু’বছরের একটি শিশুকে খুনের জন্য এমন অকল্পনীয় নির্যাতনের ছবি উঠে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। মাত্র কিছুদিন আগেই মনিপুরের জিরিবাম জেলার একটি পরিবারের ৬ জনকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। অসম সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে অপহরণের ঘটনার নেপথ্যে সন্দেহের তির কুকিদের বিরুদ্ধেই। পরে নদীতে ভেসে আসে শিশু ও বৃদ্ধার মুণ্ডহীন দেহ। পরে পাওয়া যায় সকলেরই দেহ। সকলেরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এসেছে পুলিশের। তারমধ্যে শিশু, তার মা ও ৬০ বছরের দিদিমার রিপোর্ট সত্যিই শিউরে ওঠার মতো। ২৫ বছরের মায়ের বুকে ৩টি এবং নিতম্বে একটি গুলির দগদগে ক্ষত। ৬০ বছরের দিদিমার শরীরে মিলেছে সবমিলিয়ে ৫টি গুলি -মাথায়, বুকে,পেটে এবং হাতে। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই পরিবারেরই ৮ মাসের এক শিশু, ৮ বছরের একটি মেয়ে এবং এক মহিলাকেও। এই ৩ জনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি এখনও।
আরও পড়ুন-আদানির শ্রীলঙ্কা বন্দর প্রকল্পে মার্কিন সংস্থার নজরদারি
কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে কাদের অপদার্থতা দায়ী এধরণের নৃশংস ঘটনার জন্য। উত্তর একটাই, মণিপুরের ডবল ইঞ্জিন সরকার। এতকাণ্ডের পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন এখনও এড়িয়ে চলেছেন মনিপুর সফর, গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে সেই রহস্যই।