প্রতিবেদন : পরিবেশ বাঁচানোর দাবি। জীবাশ্ম জ্বালানি শেষ না করার দাবি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর ডাক দিয়ে রাতারাতি ফোর্বস ইন্ডিয়ার পোস্টার গার্ল মণিপুরের ছোট্ট মেয়ে। দুবাইয়ে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে সোমবার মণিপুরের এই ১২ বছরের কিশোরী কী এমন করল যে তাবড় অভিনেতা থেকে শিল্পপতি সবাইকে পিছনে ফেলে সে খবরে জায়গা করে নিল?
আরও পড়ুন-শীর্ষ আদালতের রায় অমান্য করে বিল পাশ কেন্দ্রের
সাত বছর বয়স থেকে পরিবেশ রক্ষার কাজ করে লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম। মণিপুরের মেয়ে। রাষ্ট্রসংঘে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দেশ তিমুর লেস্টের পক্ষ থেকে বিশেষ দূত সে। সোমবার অধিবেশন চলাকালীন লিসিপ্রিয়া একটি পোস্টার নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। যেখানে লেখা ছিল— পরিবেশ বাঁচাতে বন্ধ করুন জীবাশ্ম জ্বালানি। আমাদের পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করুন। বিশ্বের সবথেকে বড় পরিবেশ আলোচনাসভাই তো এই আবেদনের শ্রেষ্ঠ জায়গা। কিন্তু পোস্টার তুলে ধরার পরই সমস্বরে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন একাধিক দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি। নিজের কথা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শেষে গোটা সভাস্থল পোস্টার হাতে ছুটতে শুরু করে ছোট্ট মেয়েটি। এরপর তাকে প্রায় ৩০ মিনিট আটক করা হয়। শেষে সিওপি টোয়েন্টি এইট-এ প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত শেষের পথে নির্মাণকাজ, শেষ পর্যায়ের কাজ দেখতে মন্ত্রী
নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে লিসিপ্রিয়া দাবি করেছে, জীবাশ্ম জ্বালানিই পৃথিবীর দূষণের সবথেকে বড় কারণ। কোটি কোটি শিশু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে অনাথ হয়ে পড়ছে। যুদ্ধের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় না করে সেই টাকায় পৃথিবীর ক্ষুধা মেটানো, শিক্ষার আলো দেখানো এবং পরিবেশ রক্ষার মতো পদক্ষেপ নিলে আমাদের পৃথিবী আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হতে পারত। আলোচনাসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ লিখবে।
আরও পড়ুন-নৌসেনায় অফিসার থেকে নাবিক, অসংখ্য পদ ফাঁকা, সংসদে স্বীকার কেন্দ্রের
কিন্তু পৃথিবীর পরিবেশ বাঁচানোর ছোট্ট মণিপুরী মেয়ের অদম্য জেদ আর লড়াই কার্যত বিফলে যায় সিওপি টোয়েন্টি এইট-এর মঞ্চে। আলোচনাসভার অ্যাম্বাসাডার মজিদ আল সুওয়াইদি লিসিপ্রিয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করলেও তার কোনও দামই প্রতিনিধিরা দেননি। কনফারেন্স শেষে জীবশ্ম জ্বালানি বন্ধের বিষয়ে কোনও সদর্থক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি রাষ্ট্রসংঘে। তবে তাতেও দমে না গিয়ে পরিবেশের জন্য নিজের লড়াই জারি রাখবে বলে জানিয়ে রাখে লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম।