নিম্নচাপের বৃষ্টিতে প্লাবিত উপকূলবর্তী বহু এলাকা, নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হল মানুষকে

এবারের বিপর্যয় ইয়াসের স্মৃতিকে মনে করাচ্ছে। নাগাড়ে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে শঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। সোমবারও দুর্যোগের পূর্বাভাস আছে।

Must read

সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার :‌ আবারও বড়সড় দুর্যোগের মুখে সুন্দরবন। রবিবার বেলায় প্রায় সাত মিটারের বেশি জলোচ্ছ্বাসের জেরে প্লাবিত হল সুন্দরবনের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকা। জল ঢুকল লোকালয়ে। প্লাবিত বাড়ি, চাষের জমি, পুকুর। কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। দুর্গতদের শুকনো খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-রেড রোডে আজ চমকপ্রদ অনুষ্ঠান

এবারের বিপর্যয় ইয়াসের স্মৃতিকে মনে করাচ্ছে। নাগাড়ে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে শঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। সোমবারও দুর্যোগের পূর্বাভাস আছে। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। প্রতিটি মহকুমা ও ব্লক অফিস থেকে কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস শুরু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে। বেলা বাড়ার পর বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুন-শহরে কড়া নজরদারি

পাশাপাশি সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, কুলপি, ডায়মন্ড হারবার, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, বাসন্তীতে বাঁধ উপচে জল ঢুকতে শুরু করে। জল ঢোকে সাগরের কপিলমুনি মন্দির, ফ্রেজারগঞ্জ থানা, কচুবেড়িয়া জেটিঘাট সংলগ্ন এলাকায়। জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফ্রেজারঞ্জের সমুদ্রতটে ভাঙন শুরু হয়েছে। জল ঢুকেছে মৌসুনির বাঘডাঙা এলাকায়। এই এলাকাতে প্রচুর হোম-স্টে কটেজ আছে। সেগুলি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Latest article