মধ্যপ্রাচ্যের স্পর্শকাতর আকাশসীমা, বাতিল কিংবা বিকল্প পথে বহু উড়ান

Must read

প্রতিবেদন: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের স্পর্শকাতর আকাশসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। বাতিল করা হল বেশকিছু উড়ানও। সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইরাক, ইরান এবং ইজরায়েলের আকাশসীমার উপর দিয়ে তাদের কোনও বিমান চলাচল করবে না আপাতত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, শুধুই কি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, নাকি আমেদাবাদ দুর্ঘটনার পরে বিমানের টিকিট বিক্রির পরিমাণ ২০ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণেই উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া? মূলত মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলিতে যাতায়াতের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একাধিক বিমান রয়েছে৷ বিমান সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য ইরাক, ইরান ও ইজরায়েলের আকাশসীমার উপর দিয়ে চলাচল না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া৷ কাতারও উত্তেজনার কারণে বন্ধ করে দিয়েছে তাদের আকাশসীমা। আগামী কয়েকদিন পারস্য উপসাগরের উপর দিয়ে নির্দিষ্ট আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে না৷ পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার, ওমান এবং কুয়েত-সহ বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে যাতাযাতের জন্য বিকল্প পথ বেছে নেওয়া হবে। তবে এর ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির পাশাপাশি ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা থেকে যাতায়াতে বেশ কিছু নির্দিষ্ট বিমানের সময়সীমা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনুমান। অন্যদিকে সূত্রের খবর, যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলিতে বিমান চলাচল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস৷ যাত্রীদের আগে থেকে এই বিষয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ যদিও, সংস্থার তরফে এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷
একাধিক পরিবহণ সংস্থার দাবি, আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) আন্তর্জাতিক এবং ডোমেস্টিক বিমানে যাত্রীসংখ্যা আগের তুলনায় বেশ কিছুটা কমে গিয়েছে৷ বিমান সংস্থার টিকিট বুকিং প্রায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ যদিও, দুর্ঘটনার জেরে গড় ভাড়া ৮ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান সংস্থাটির তরফে৷ মূলত, মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই, দোহা, রিয়াদ এবং জেড্ডায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চলাচল করে৷ সংস্থাসূত্রে খবর, এই বিষয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করা হচ্ছে৷ পরিস্থিতির উপর নজরও রাখা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সংস্থার তরফে৷ কিন্তু বিমানের রুট বদল এবং বিমান বাতিলের ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ যে বাড়বে, এ-ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই।

আরও পড়ুন-ইরানে মার্কিন হামলা যুদ্ধের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভ রাজপথে

Latest article