সংবাদদাতা, মালদহ : একের পর এক নির্বাচনে, উপনির্বাচনে যত দলের ভরাডুবি হচ্ছে, তত ছন্নছাড়া দশা হচ্ছে বিজেপির (BJP)। এবার স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে ঘিরে মালদহের চাঁচলে প্রকাশ্যে চলে এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের একদল কর্মী-সমর্থকের অভিযোগ, কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না তাঁদের। দলের একাংশকে আড়ালে রেখে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি। সোমবার চাঁচল-১ নং ব্লকের বিজেপির ১২ নং মণ্ডল সভাপতির উদ্যোগে নেওয়া হয় স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও সেবা সপ্তাহ পালন কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির মাধ্যমে রাস্তাঘাটে সাফাই অভিযান চালানো হয়।
১২ নং জেলা পরিষদের মণ্ডল সভাপতি দেবনাথ পাণ্ডে, জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস-সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মী ছিলেন। তবে বিজেপি (BJP) কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, একাধিক কর্মসূচিতে তাঁদের ডাক মেলে না। পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে বুথকর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। ১১ নং জেলা পরিষদের পর্যবেক্ষক প্রসেনজিৎ শর্মার অভিযোগ, দলে অযোগ্যদের মনোনীত করা হচ্ছে এবং ঘনিষ্ঠদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে সংগঠন পুরোপুরিভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এইভাবে দল চালালে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথস্তরে বিজেপির প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবনাথ পাণ্ডে জানান, স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে সবাইকে ডাকা হয়েছে। যাঁরা আসেননি তাঁরা দলের কেউ নন। বিজেপির অন্তর্কলহ নিয়ে চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শচীদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। চাঁচলেও তার ছায়া পড়েছে। কয়েকদিন পর বিজেপি নামক দলটাই থাকবে না।’’ দেওয়া হচ্ছে।