সংবাদদাতা, দিঘা : মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ। কিছুদিন পর উচ্চমাধ্যমিকও শেষ হবে। বিদ্যালয়গুলিতে পড়ে যাবে গরমের ছুটি। সেই সময় সপরিবার বাঙালির গন্তব্য ‘দিপুদা’। মানে দিঘা-পুরী-দার্জিলিং। ফলে এই জায়গাগুলোয় এই সময় ব্যাপক ভিড় হয়। এবার একগুচ্ছ ট্রেন বন্ধ। ফলে পর্যটক কম আসার শঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকেরা। লকডাউনের সময় থেকেই বন্ধ দিঘা-পুরী সাগরকন্যা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রতি শনিবার ট্রেনটি পুরী থেকে যেত দিঘায়। রবিবার দিঘা থেকে ফিরত।
আরও পড়ুন-পরীক্ষার্থীদের পাশে টিএমসিপি
উধাও তালিকায় রয়েছে হাওড়া-দিঘা-হাওড়া কান্ডারি এক্সপ্রেস, দিঘা-হাওড়া-দিঘা এসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, পাঁশকুড়া-দিঘা লোকাল, হলদিয়া চেন্নাই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। এই ট্রেন বন্ধে রেশ পড়েছে দিঘা, পুরীর মতো পর্যটনকেন্দ্রে। দিঘার এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, ‘অন্য বছর এই সময় বুকিংয়ের ধুম পড়ে যেত। এবার ট্রেন কম থাকায় পর্যটকেরা সড়কপথে আসায় বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’ ইতিমধ্যেই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় কমেছে। ফলে চিন্তিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও টোটো-রিকশা চালকেরা।
আরও পড়ুন-শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি বিশ্বভারতী উপাচার্যের
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের রেলের পরামর্শদাতা কমিটির এক সদস্য জানালেন, ‘লকডাউনের দীর্ঘ সময়ে রেলের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে বহু কোচ ড্যামেজ। সেগুলি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আবার লকডাউনে বহু ট্রেনের চালক অবসর নিয়েছেন। তাই সমস্যা হচ্ছে।’ ক্ষুব্ধ পর্যটকদের প্রশ্ন, রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য কত দিন যাত্রীরা দুর্ভোগ পোয়াবেন?