রুশ কবজায় মারিউপোল, ইউক্রেন সেনার প্রতিরোধ ভাঙছে

২০১৪ সালের যুদ্ধে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করেছিল। চলতি যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেনের ডনবাস ও লুহানস্ক দখল করে নিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : কৌশলগত দিক থেকে ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোল দখল করা রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মারিউপোল সম্পর্কেই এদিন চাঞ্চল্যকর দাবি জানাল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাদের দাবি, মারিউপোল শহরে ইউক্রেনের ৩৬ তম মেরিন ব্রিগেডের ১০২৬ জন সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। যার মধ্যে ৪৭ জন মহিলা আছেন। আছেন ১৬২ জন অফিসার। ২০১৪ সালের যুদ্ধে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করেছিল। চলতি যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেনের ডনবাস ও লুহানস্ক দখল করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন-স্পাইসজেটের ৯০ জন পাইলটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়া এই তিন এলাকাকে যুক্ত করতে চায়। এই কাজ করতে গেলে মারিউপোল শহরটি দখল করা খুবই জরুরি। কারণ মারিউপোল রয়েছে প্রায় মাঝখানে। মারিউপোল শহরের উপর আক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে কিয়েভের দাবি। অন্যদিকে ইউক্রেনের ৩৬ তম মেরিন ব্রিগ্রেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ৪৭ দিন ধরে এই বন্দর শহর রক্ষার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তাদের হাতে অস্ত্র খুবই কমে এসেছে। অর্ধেকের বেশি সেনা আহত। যারা কোনওরকম সুস্থ আছেন তারাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের সামনে পিছু হঠা ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ নেই। তবে তাদের আক্ষেপ, তারা কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছে না। অস্ত্র ও রসদ দিয়ে তাদের সাহায্য করা হলে তারা অবশ্যই রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারত। ইতিমধ্যেই রুশ সেনা মারিউপোলকে ঘিরে ফেলেছে।

আরও পড়ুন-বন্দিমুক্তির বিনিময়ে

এদিকে এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গণহত্যাকারী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, গণহত্যাকারী পুতিন ইউক্রেনকে মুছে ফেলতে চাইছেন। বাইডেনের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, আমরা প্রথম থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর দাবি করে আসছি। এতদিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাদের সেই দাবিকেই স্বীকৃতি দিলেন।

Latest article