দেবর্ষি মজুমদার, সিউড়ি: এখনও কয়লাশিল্প শুরু হয়নি। কাজ চলছে। তার আগেই প্যাকেজ। আবার কারও চাকরির বয়স হয়নি। কিন্তু বাপ-দাদারা জমি দিয়েছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্যাকেজ অনুযায়ী সহায়তা ভাতা দশ হাজার টাকা পাবেন বাড়িতে বসেই। এমন অভাবনীয় প্যাকেজ পেয়ে অনেকেই মুগ্ধ। তাঁরা প্রত্যেকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নিয়োগপত্র পাওয়ার পর সরস্বতী হেমব্রমরা বলেন, ‘মমতা দিদি নামেও মমতা, কাজেও মমতা। অনেকেই এলাকায় অশান্তি করতে আসছিল। আমাদের ভুল বোঝাতে আসছিল। তাদের সবাইকে চিনি না। আমরা তাদের খেদিয়ে দিয়েছি।’ শনিবার সিউড়ির রবীন্দ্রসদনের মঞ্চে অনিল দাসকে কাছে টেনে ফিরহাদ হাকিম বললেন, ‘এই প্যাকেজ তোমার জন্য।’ তারপর বয়সে অল্প শীর্ণকায় অনিল দাসকে রসিকতা করে বললেন, ‘তোমার যা শরীর!’ একে একে দেউচা পাচামির (Deucha Pachami- Appointment Letter) মেরি কিসকু, দুলাই হাঁসদা, চাষি সোরেন, জিতেন মুর্মু, সাহেব শেখ, সারিদ শেখ, তরুণ দাস, সৌমিত্র সাধু, বিমল দাস, পম্পা রাউত, টোটন দাস, মোহন প্রসাদ, সাবিত্রী হেমব্রম, সরস্বতী মুর্মু, শেখ আলি রহমান ও শিখা রাউতরা তাঁদের মানবিক (Deucha Pachami- Appointment Letter) প্যাকেজ হাতে তুলে নিলেন যথাক্রমে ফিরহাদ হাকিম এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন: গঙ্গানদীর ভাঙনের মুখে সামশেরগঞ্জ রাজ্য সড়ক
লোবা গ্রামের চাষীদের প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ওটা ডিভিসির প্রকল্প। কেন্দ্র সরকারের। যদি কেন্দ্র সরকার না পারে বা আমাদের ছেড়ে দেয়, আমরা তখন ওটাকে গ্রহণ করব।’ উল্লেখ্য, লোবায় খুব কাছেই কয়লার ভাণ্ডার আছে। কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্য ওখানে শিল্প হচ্ছে না।